কমরেড কবি এম এ মতিন — কাজী সালাহউদ্দীন মুকুল

(কমরেড এম এ মতিনকে নিবেদিত)

তুমি মুক্তি খুঁজেছিলে অনন্ত খোলা আকাশে
বাতাসে বাতাসে গেয়েছিলে ইন্টারন্যাশনাল—মুক্তির গান

পুঁজিবাদী লোহার খাঁচায় বন্দি তোমার স্বপ্ন
লুটেরা বুর্জোয়া শিকলে বাঁধা ভাষায়, তুমি—
নাকি ছিলে প্রলেতারিয়েত সন্ত্রাসী! অথচ—
তুমি দেখেছিলে কৃষক নিজের চোখের জলে
নিজ জমিনে দিয়েছে সেচ; শোষণের গনগনে পতিত আগুনে
জ্বলে পুড়ে ছাই হয়েছে শ্রমিকের সংসার।

চোখের ক্যানভাসে তুমি ছবি এঁকেছিলে—
শোষণহীন সর্বহারা সমাজ সভ্যতার।

এখন কেবলি এসব প্রশ্নবোধক চিহ্ন?

এখনও কালো রাজপথে সতীর্থদের রাঙা জ্বলজ্বলে
পোস্টার হাতে, সমুদ্রের সফেন ঢেউয়ের মতোন
শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হবে—
“কেউ খাবে তো কেউ খাবে না”
কবিতার শব্দে শব্দে বেজে উঠবে বিপ্লবী সুরের জোয়ার।

শুধু নেই তুমি!

কুয়াশার চাদরে ঢাকা চাঁদের কলস গড়িয়ে নামা জ্যোৎস্নায়—
শিশির ভেজা ঘাসে নিঃশব্দে তোমার—
অভিমানী চলে যাওয়া অন্য কোথাও অন্য কোনোখানে।

শাদা কাফনের ঘরে শুয়ে আছো—
নিরব নিথর কমরেড কবি মতিন।

৪ অক্টোবর, ২০১৩, ময়মনসিংহ।

শুনুন কমরেড এম এ মতিনের কণ্ঠে তারই লেখা কবিতা

কমরেড এম এ মতিনের স্বরচিত কবিতা “ইদানীং আমি এক নিশিজাগা পাখি হয়েছি”র আবৃত্তি
আরো পড়ুন:  রাতের শেষ প্রহরের যোদ্ধা

Leave a Comment

error: Content is protected !!