বাঁশিঅলা

আমি বাজাই বাঁশি
মনের আনন্দে নয়,
মনহরিণীর মন হরণ করার জন্যেও নয়,
আমি বাঁশি বেচি,
বাঁশি বেচতে গেলে বাঁশি বাজিয়ে শোনাতে হয়;
অবশ্য খারাপ বাঁশিটিও আমার কাছে সুমধুর সুর তোলে,
নেতার স্পর্শে যেমন বেয়াড়া মানুষটিও সুন্দর
গুণে ভরে ওঠে;
আমার ফুঁ দিয়ে যাদুর সুর আসে;
সেই সুর মৃত মানুষকে জাগিয়ে তোলে,
মহামানুষে পরিণত করে,
কিন্তু আমি থাকি পূর্বেরই মতো।

আমি জানি
আমার বাঁশিরা কথা বলতে জানে;
তাদের প্রগতি, শান্তি ও সৌন্দর্যের
আকাঙ্ক্ষা আছে।
তদুপরি তারা মাঝেমধ্যেই উল্টো পথে গাড়ি চালায়,
উল্টো রথে নিজেদের হত্যা করে,
অন্যান্য মানুষের মতো তারাও নিজের ধ্বংস নিজেরাই ডেকে আনে।

তবে একদিন আমি দেখলাম একটি বাঁশি
আর সবগুলো থেকে আলাদা,
সেইটিই তারপর থেকে আমার প্রিয় বাঁশি।
আমি এখন ওটিকেই বাজাই।

২০ আগস্ট, ২০০৪; কাস্টম মোড়, কুষ্টিয়া।

কবিতাটির ইংরেজি অনুবাদ পড়ুন: Flute Seller

চিত্রের ইতিহাস: কবিতায় ব্যবহৃত অংকিত চিত্রটি জন ফ্রেডরিক গডওয়ালের (১৮২২-১৯০৪) আঁকা চিত্র ‘নুবিয়ান দাসের গান’ (The Song of the Nubian Slave)। শিল্পী চিত্রটি আঁকেন ১৮৬৩ সালে। ছবিটি নিচে সামান্য ছেঁটে ব্যবহার করা হয়েছে।

Leave a Comment

error: Content is protected !!