জানিনা আজ ফুলবাড়ির ফুলগুলো কেমন আছে?
স্বদেশের সম্পদ রক্ষায় তাঁর আজো কেমন লড়ছে?
মিথ্যা স্বপ্ন দেখাতে আজো কি উৎপাত আছে দালালের?
শুধু জানি কালো জলে নিত্য স্নান করে ফসলের ক্ষেত,
মলিনতায় ভরে থাকে শিশুর চোখের পলক,
এ জনপদে যে স্নান শেষে শুভ্র টগর হয়ে ঘরে ফিরতো,
তার শরীরে আজ কৃষ্ণ পক্ষের মেঘ-আঁধার বাসা বেধেছে।
বাউলা হাসি মুখে নিয়ে আমার যে বাউল ছড়িয়েছিলো
টলটলে স্রোতে সবুজ গাছের নীড়ে বাবুই ছানা হয়ে,
তার শরীরে আজ কয়লার সেঁকা লাগে।
প্রতি ভোরে হাত বুলাতাম ঘাসে জড়ানো হিরে দানার মুখে
সে ঘাসকে আজ ভ্যাঁপসানো হয় প্রতি রাতে।
জানা অজানা ঘটনা হুমড়ি খায় পায়ের গোঁড়ায়
নিজেদের ব্যর্থতাগুলো বারবার কড়া নাড়ে মগজের দ্বারে
তখন নিঃস্তব্ধতা এসে ভিড় করে আমাদের কাঁধে
নিজেদের হাত যেন নির্জীব হয়ে থাকে মেঝের উপর,
তখনো কানে এসে ভিড় করে তোমাদের কণ্ঠস্বর
আমাদের জাগতে বলো আঘাতে আঘাতে;
পিদিম জ্বেলে আলো আনো লড়াইয়ের ঘরে।
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
আকুয়া, ময়মনসিংহ
চিত্রের ইতিহাস: কবিতায় ব্যবহৃত আলোকচিত্র ফুলবাড়ি আন্দোলন, আলোকচিত্র: তাসলিমা আকতার।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: কবিতাটি আমার [দোলন প্রভা] রচিত মনন পাবলিকেশন ঢাকা থেকে ২০১৭ সালে প্রকাশিত স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে কবিতাগ্রন্থের ৪১ পৃষ্ঠা থেকে নেয়া হয়েছে এবং রোদ্দুরেতে প্রকাশ করা হলো।
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।