নীরবতা

(রানা প্লাজা ধ্বসে মৃত শ্রমিকগণকে নিবেদিত)

দিনের শেষ আলিঙ্গন যখন হাত পা গুটিয়ে নেয় পৃথিবী থেকে
নীরবতারা তখন নীল আলো হয়ে আমার জানালা দিয়ে এসে
আমার চেতনাকে ডুবিয়ে দেয় কবিতার স্পন্দন পেতে,
ফিরে আসি বিছানা ছেড়ে জানালার পাশে ভেসে আসা নীলে।

এক প্রতিবাদের ছায়া জেগে ওঠে আমার পাশে;
শক্তি দেয় নিঃশব্দে, বাধা পেরিয়ে এগিয়ে চলার;
গভীর নিরবতায় বেজে ওঠে অস্পষ্ট লড়াকু সুর;
আমাকে নিয়ে যায় এক বিস্তর রক্তাক্ত নগ্ন ভূমিতে,
দেখায় মরচে পড়া বেহিসাবিসব ক্ষত,
তার মাঝেই শোনা যায় জীবনের অর্ধলুপ্ত চাপা সুরকে;
দেখিয়ে দেয়, দৃঢ় মুষ্ঠিবদ্ধ হাতের নিথর দেহগুলোকে;
যারা তাকিয়ে আছে সাহসী চোখ নিয়ে উর্ধ্ব-আকাশে।

আবার ফিরে আসি আমার কবিতার মাঝখানে,
তৈরি হতে থাকে প্রতিবাদের গান গল্প ভাষা,
চিন্তার জগত নির্মাণ করতে থাকে
নির্ভীক যোদ্ধা।

২৮ এপ্রিল, ২০১৩
নওমহল, ময়মনসিংহ

চিত্রের ইতিহাস: কবিতায় ব্যবহৃত চিত্রটি রানা প্লাজা ধ্বসের চিত্র, আলোকচিত্র: রিজন।  ছবিটি তোলা হয়েছে ২০১৩ সালে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: কবিতাটি আমার [দোলন প্রভা] রচিত মনন পাবলিকেশন ঢাকা থেকে ২০১৭ সালে প্রকাশিত স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে  কবিতাগ্রন্থের ১৭ পৃষ্ঠা থেকে নেয়া হয়েছে এবং রোদ্দুরেতে প্রকাশ করা হলো।

আরো পড়ুন:  যুগল প্রতিজ্ঞা

Leave a Comment

error: Content is protected !!