প্রজাপতি জ্বালায় পোড়ায় নিজে পোড়ে না

খুলির ভেতরে প্রজাপতি গড়ে বৃত্তাকার সুখের বাসর;

তার খয়েরি ডানায় ওড়ে পাহাড়ের গ্রানাইট পাথর।

বৃহত দানব এক হয় সে তার চৌহদ্দির ভেতর।

চার পায়ে চার হাজার নক্ষত্রকে ধরে আনে সে সেথায়।

স্যাটেলাইটের মতো শুঁড়ে খোঁজ নেয় পাপীরা কোথায়।

মাথার উপরে রাখে সে কয়েক লক্ষ পারমাণবিক খেলা,

যাকে মনে চায় তাকে হজম করতে বসায় বহুজাতিক মেলা।

বিষাক্ত পতঙ্গ সাপ খুলির উপরে ছোটাছুটি করে।

আর্বজনা কাদা পাক বিভীষিকায় খুব নড়ে চড়ে।

পোড়া ঘ্রাণ মৃত লাশ চিতায় জ্বলে জ্বলন্ত লাকড়ি।

আগুনের দাউ দাউ রক্তশিখা ভূমণ্ডলে করে উড়াউড়ি।

জ্বলতে জ্বলতে খড়ি হয় খাঁটি সোনা।

প্রজাপতি জ্বালায় পোড়ায় নিজে পোড়ে না।

 

চিত্রের ইতিহাস: কবিতায় ব্যবহৃত অংকিত চিত্রটি উনিশ শতকের একটি চীনা পেইন্টিং। আঁকা চিত্রটির নাম ‘নরকে পেষাই(Grinding Hell)। এখানে চিত্রটিকে নিচের দিকে সামান্য ছেঁটে ব্যবহার করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:  অস্তিত্বের জন্য যুদ্ধ চাই

Leave a Comment

error: Content is protected !!