শিরোনামহীন আগ্রাসন

হুইস্কি, গোলাপগুচ্ছ ও পরমাণু বোমা পরপর

সাজানো আছে অন্ধকার ছাদের শয্যায়,

এখানে সাঁতার হবে তীব্র অহংকারপূর্ণ প্রাণহীন রক্ত পেয়ালায়,

শতাব্দি পুরোনো সব বট ও বুড়োরা এসেছে,

নেঙটি মাজা মেরে সব খেলতে নেমেছে,

বুড়িদের মৌলিক পরিসংখ্যান সব হৃদয় চমকানো;

লাইসিয়াম থেকে শান্তি নিকেতনে পড়ে গেছে সাড়া;

তোমাদের বুকের উপরে আজ নৃত্য হবে, গাওয়া হবে গান।

 

তোমাদের বিবেক ও ঈন্দ্রিয় আজ পোড়ানো হবে পাথুরে বারুদে ঘষে,

মোরগ লড়াই হবে ভেঙে পড়া কুরুক্ষেত্রের মাঠে;

দেখবে নারী ও নাইটদের প্রচলিত ঘোড়দৌড়,

কার কত টাকা আছে, কার আছে কত বড় ঘর,

হাঁপিয়ে উঠেছে কে, কার পিঠে পড়ছে চাবুক,

মুখ দিয়ে ঝরছে কার ক্লান্তির ফেনা,

কতটা সইবে কার বারবার সপাঙ সপাঙ,

নীল শঙ্খচুড়ের চুমুতে কার জীবন হয়ে গেছে ত্যানা?

 

থাকবে পথের দুধারে সারি সারি উৎসুক দর্শক,

মত্ত তরুণ পাগলি তরুণী কামুক হিজড়া ও শিশু,

সকলেই অপেক্ষায় কখন পুরোনো রেকর্ড ভাঙে;

হঠাৎ পৃথিবী কাঁপানো চিৎকার শোনা যায় ‘জিতেছে জিতেছে’

বিজিত সহসা পাশ ফিরে বলে ‘একটু মলম হবে ভাই’

এবং লাফ ঝাঁপ শেষ হয় আসমানের তীরে,

নুড়ি ও পাহাড়ে গণতান্ত্রিক আগুনের ঝাঁঝ, 

 

মলদ্বারের মতো মুখ গিলছে শিল্প ও হৃদয়। 

 

১৪.০৬.২০০১.

চিত্রের ইতিহাস: কবিতায় ব্যবহৃত অংকিত চিত্রটি সান্দ্রো বতিচেল্লির (১৪৪৫-১৫১০) আঁকা চিত্র ‘প্যারিসের বিচার(The Judgement of Paris)। শিল্পী চিত্রটি আঁকেন ১৪৮৫-১৪৮৮ সালে। এখানে চিত্রটিকে হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:  কাব্যজিজ্ঞাসা

Leave a Comment

error: Content is protected !!