চিলকা নদী (ইংরেজি: Chilka River) বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পঞ্চগড় জেলার পঞ্চগড় সদর ও তেতুলিয়া উপজেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ২০ কিলোমিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। চিলকা নদীটিতে জোয়ার ভাঁটার প্রভাব থাকে না। চিলকা নদী মূলত চাওয়াই নদীর উপনদী যা চাওয়াই নদীর ডান তীরে এসে মিলিত হয়েছে।
প্রবাহ: চিলকা নদীটি পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের নিম্নভূমি থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। উৎপত্তিস্থল থেকে নদীটি কিছুটা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলার উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়ন অবধি অগ্রসর হয়ে সাতমেরা ইউনিয়নে প্রবাহিত চাওয়াই নদীতে পতিত হয়েছে।
চিলকা নদীটি মুখ্যত বিলের পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। নদীর ভাটিতে সারা বছর পানি প্রবাহ থাকে, তবে বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। বর্ষায় নদীতে স্রোতধারা বৃদ্ধি পেলেও তীরবর্তী এলাকা যেমন বন্যাকবলিত হয় না, তেমনি ভাঙনের আলামত পরিদৃষ্ট হয় না। নদীতে শুষ্ক মৌসুমে পানির প্রবাহ মারাত্মক কমে যাওয়ায় নদীর বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষাবাদ করা হয়। পলির প্রবাহে এ নদীর তলদেশ ক্রমশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে এবং প্রবাহের মাত্রাও অতীতের তুলনায় দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।
এই নদীর তীরে কোনো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বা হাটবাজার নেই। এই নদী অববাহিকায় সেচের জন্য কোনো জল সংরক্ষণ করা হয় না। এই নদীতে কোনো রেগুলেটর নেই বা কোনো বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নেই। নদীর উপর পঞ্চগড় বাংলাবান্ধা মহাসড়কের উপর ১টি এবং আরো ৫টি ছোট ব্রিজ আছে।[২]
আলোকচিত্রের ইতিহাস: চিলকা নদীর মোহনা অঞ্চলের গুগল আর্থের নদীর প্রবাহপথের এই স্ক্রিনশটটি গ্রহণ করেছেন অনুপ সাদি ২০ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে।
তথ্যসূত্র
১. হানিফ শেখ, ড. মো. আবু (ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। “উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নদ-নদী”। বাংলাদেশের নদ-নদী ও নদী তীরবর্তী জনপদ (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: অবসর প্রকাশনা সংস্থা। পৃষ্ঠা ৫০। আইএসবিএন 978-9848797518।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।