ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন ও আন্দোলনকারীদের উপর ছাত্রলীগের বর্বর হামলার বিরুদ্ধে ২৯ জানুয়ারী সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আগামীকাল এই ধর্মঘট সফল করার জন্য ছাত্রসমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জানান। নেতৃবৃন্দ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিপীড়ন বিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের ধর্মঘটের সমর্থনে সারা দেশের ছাত্র সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলার ও তাদের মদদদাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ন্যাক্কারজনক অবস্থানের পালটা জবাব ছাত্র সমাজকে দিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং প্রক্টর এখন এই গুন্ডা ছাত্রলীগের মুখপত্র হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপরেই প্রকাশ্যে যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদে যে শিক্ষার্থীরা গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছিল তাঁদের নামেই মামলা দেয়া হলো। আবার তাঁদের উপরেই এই পৈশাচিক আক্রমণ করা হল! অথচ এই সন্ত্রাসীদের মুখপত্র প্রক্টর উলটো প্রতিবাদকারীদেরকেই হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত করছে! পদলেহনের এ এক নির্লজ্জ্ব দৃষ্টান্ত। এই ভিসি ও প্রক্টরকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে!
নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগের লাঠিয়াল ছাত্রলীগ যুবলীগ, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট এমপি, মন্ত্রী, আওয়ামী পদলেহনকারী সাংবাদিকরা আজ জনগণের সাথে উদ্ধত ফ্যাসিবাদী আচরণ, হামলা, দমন পীড়ন চালাচ্ছে! অন্যদিকে সারা দেশে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে জনমত ফুঁসে উঠেছে। এই ফ্যাসিস্টদের পায়ের তলায় আর মাটি নেই! জনগণের উপর এদের এই দমন পীড়নের বিরুদ্ধে পালটা প্রতিরোধ গড়ে তোলাই হবে এখন ছাত্র সমাজের করণীয়! নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ঢাবিতে আন্দোলনকারীদের উপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বর্বর হামলার বিচার ও অবিলম্বে ঢাবি ভিসি ও প্রক্টরকে পদত্যাগ দাবী করেন এবং আগামীকাল ২৯ জানুয়ারী সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট সফল করার জন্য ছাত্রসমাজের প্রতি আহ্বান জানান। খবর নাঈম সিদ্দিকী প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির। উল্লেখ্য সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য হচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, ছাত্র গণমঞ্চ, সংস্কৃতির নয়া সেতু এবং প্রগতির পরিব্রাজক দলের সম্মিলিত মোর্চা।