কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার, জার্মান অথবা ‘খাঁটি’ সমাজতন্ত্র

ফ্রান্সের সমাজতন্ত্রী ও কমিউনিস্ট সাহিত্যের জন্ম হয়েছিলো ক্ষমতাধর বুর্জোয়া শ্রেণীর চাপে এবং এই ক্ষমতার বিরুদ্ধে সংগ্রামের অভিব্যক্তি হিসাবে। জার্মানিতে সে সাহিত্যের আমদানি হলো যখন সামন্ত স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সেখানকার বুর্জোয়ারা সবেমাত্র লড়াই শুরু করেছে। আরো পড়ুন

কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার, পেটি বুর্জোয়া সমাজতন্ত্র

বুর্জোয়াদের হাতে একমাত্র সামন্ত অভিজাত শ্রেণিরই সর্বনাশ হয় নি, তারাই একমাত্র শ্রেণি নয় আধুনিক বুর্জোয়া সমাজের আবহাওয়ায় যাদের অস্তিত্ব-শর্ত শুকিয়ে গিয়ে মরতে বসেছে। আধুনিক বুর্জোয়াদের অগ্রদূত ছিল মধ্যযুগের নাগরিক দল এবং ছোটো ছোটো খোদকস্ত চাষী। শিল্প বাণিজ্যে যে সব দেশের বিকাশ অতি সামান্য, সেখানে উঠন্ত বুর্জোয়াদের পাশাপাশি এখনো এই দুই শ্রেণি দিনগত পাপক্ষয় করে চলেছে। আরো পড়ুন

কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার, সামন্ত সমাজতন্ত্র

— কার্ল মার্কস ও ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস৩সমাজতন্ত্রী ও কমিউনিস্ট সাহিত্য১. প্রতিক্রিয়াশীল সমাজতন্ত্রক. সামন্ত সমাজতন্ত্র স্বীয় ঐতিহাসিক পরিস্থিতির কারণে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের অভিজাতদের কাছে আধুনিক বুর্জোয়া সমাজের বিরুদ্ধে পুস্তিকা লেখা একটা কাজ হয়ে দাঁড়ায়। ১৮৩০ খ্ৰীস্টাব্দের জুলাই মাসের ফরাসী বিপ্লবে এবং ইংল্যান্ডে সংস্কার আন্দোলনে ঘৃণ্য ভুঁইফোঁড়দের হাতে এদের আবার পরাভব হল । এরপর এদের পক্ষে একটা গুরুতর … Read more

কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার — বুর্জোয়া ও প্রলেতারিয়েত

ইউরোপ ভূত দেখছে—কমিউনিজমের ভূত। এ ভূত ঝেড়ে ফেলার জন্য এক পবিত্র জোটের মধ্যে এসে ঢুকেছে৷ সাবেকী ইউরোপের সকল শক্তি—পোপ এবং জার, মেত্তেরনিখ ও গিজে, ফরাসি র‍্যাডিকালেরা আর জার্মান পুলিশ গোয়েন্দারা। এমন কোন বিরোধী পার্টি আছে, ক্ষমতায় আসীন প্রতিপক্ষ যাকে কমিউনিস্ট-ভাবাপন্ন বলে নিন্দা করে নি? এমন বিরোধী পার্টিই বা কোথায় যে নিজেও আরও অগ্রসর বিরোধী দলগুলির, তথা প্রতিক্রিয়াশীল বিপক্ষদের বিরুদ্ধে পাল্টা ছুড়ে মারে নি কমিউনিজমের গালি? এই তথ্য থেকে দুটি ব্যাপার বেরিয়ে আসে। আরো পড়ুন

কার্ল মার্কসের সমাধিপার্শ্বে বক্তৃতা

১৪ মার্চ, বেলা পৌনে তিনটেয় পৃথিবীর সর্বশেষ্ঠ চিন্তানায়ক চিন্তা থেকে বিরত হয়েছেন। মাত্র মিনিট দুয়েকের জন্য তাঁকে একা রেখে যাওয়া হয়েছিলো। আমরা ফিরে এসে দেখলাম যে তিনি তাঁর আরাম কেদারায় শান্তিতে ঘুমিয়ে পড়েছেন — কিন্তু ঘুমিয়েছেন চিরকালের জন্য। এই মানুষটির মৃত্যুতে ইউরোপআমেরিকার জঙ্গী প্রলেতারিয়েত এবং ইতিহাস বিজ্ঞান উভয়েরই অপূরণীয় ক্ষতি হলো। আরো পড়ুন

ভারতে ব্রিটিশ শাসনের ভবিষ্যৎ ফলাফল

লন্ডন, শুক্রবার, ২২ জুলাই, ১৮৫৩; এ চিঠিতে আমি ভারত সম্পর্কে আমার মন্তব্যের উপসংহার টানতে চাই। ইংরেজ প্রভুত্ব ভারতে প্রতিষ্ঠিত হল কি করে ? মহা মোগলদের একচ্ছত্র ক্ষমতা ভেঙে ফেলেছিল মোগল শাসনকর্তারা। শাসনকর্তাদের ক্ষমতা চূর্ণ করল মারাঠারা। মারাঠাদের ক্ষমতা ভাঙল আফগানরা; এবং সবাই যখন সবার সঙ্গে সংগ্রামে লিপ্ত, তখন প্রবেশ করল ব্রিটেন এবং সকলকেই অধীন করতে সক্ষম হলো। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!