প্যারিস কমিউন পৃথিবীর প্রথম প্রলেতারিয় একনায়কত্ব

প্যারিস কমিউন (ইংরেজি: Paris Commune) হচ্ছে ১৮৭১ সালে ফ্রান্সের প্যারিতে প্রলেতারিয় বিপ্লবীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত প্রলেতারিয়েত শ্রেণির বিপ্লবী সরকার। সেটি ছিলো ইতিহাসে প্রথম প্রলেতারিয় একনায়কত্বের সরকার, তবে প্যারিসের বীর শ্রমিক শ্রেণি সেটিকে টিকিয়ে রাখতে সমর্থ হয় ৭২ দিন; ১৮৭১ সালের ১৮ মার্চ থেকে ২৮ মে। আরো পড়ুন

সমাজতান্ত্রিক সমাজের শ্রেণি কাঠামোর প্রকৃতি

সমাজতান্ত্রিক সমাজের শ্রেণি দুই প্রধান ভাগে ভাগ হলও শ্রমিক শ্রেণি ও সমবায়ী কৃষক। পুঁজিবাদী সমাজে যে প্রলেতারিয়েত উৎপাদনের উপায় থেকে বঞ্চিত এবং পুঁজিবাদীদের নিকট নিজেদের শ্রমশক্তি বিক্রয়ে বাধ্য সেই প্রলেতারিয়েত সমাজতান্ত্রিক সমাজে নেই। আরো পড়ুন

কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার, সমালোচনা — কল্পলৌকিক সমাজতন্ত্র ও কমিউনিজম

আধুনিক যুগের প্রতিটি বড় বড় বিপ্লবে যে সাহিত্য প্রলেতারিয়েতের দাবিকে ভাষা দিয়েছে, যেমন বাব্যেফ ও অন্যান্যদের রচনা, আমরা এখানে তার উল্লেখ করছি না। সামন্ত সমাজ যখন উচ্ছেদ হচ্ছে তখনকার সর্বজনীন উত্তেজনার কালে নিজেদের লক্ষ্যসিদ্ধির জন্য প্রলেতারিয়েতের প্রথম সাক্ষাৎ প্রচেষ্টাগুলি অনিবার্য্যভাবেই ব্যর্থ হয় আরো পড়ুন

কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার, পেটি বুর্জোয়া সমাজতন্ত্র

বুর্জোয়াদের হাতে একমাত্র সামন্ত অভিজাত শ্রেণিরই সর্বনাশ হয় নি, তারাই একমাত্র শ্রেণি নয় আধুনিক বুর্জোয়া সমাজের আবহাওয়ায় যাদের অস্তিত্ব-শর্ত শুকিয়ে গিয়ে মরতে বসেছে। আধুনিক বুর্জোয়াদের অগ্রদূত ছিল মধ্যযুগের নাগরিক দল এবং ছোটো ছোটো খোদকস্ত চাষী। শিল্প বাণিজ্যে যে সব দেশের বিকাশ অতি সামান্য, সেখানে উঠন্ত বুর্জোয়াদের পাশাপাশি এখনো এই দুই শ্রেণি দিনগত পাপক্ষয় করে চলেছে। আরো পড়ুন

কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার, প্রলেতারিয়েত ও কমিউনিস্টগণ

— কার্ল মার্কস ও ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার, প্রলেতারিয়েত ও কমিউনিস্টগণ সমগ্রভাবে প্রলেতারীয়দের সঙ্গে কমিউনিস্টদের কী সম্বন্ধ? শ্রমিক শ্রেণীর অন্যান্য পাটিগুলির প্রতিপক্ষ হিসাবে কমিউনিস্টরা স্বতন্ত্র পার্টি গঠন করে না। সমগ্রভাবে প্রলেতারিয়েতের স্বাৰ্থ থেকে বিচ্ছিন্ন স্বতন্ত্র কোনো স্বার্থ তাদের নেই। প্রলেতারীয় আন্দোলনকে রূপ দেওয়া বা গড়ে পিটে তোলার জন্য তারা নিজস্ব কোনও গোষ্ঠীগত নীতি খাড়া … Read more

ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস রচিত জ্ঞানগর্ভ পুস্তিকা কমিউনিজমের নীতিমালা

প্রশ্ন-১. কমিউনিজম কি? উত্তর: কমিউনিজম হলো প্রলেতারিয়েতের মুক্তির পদ্ধতি সংক্রান্ত মতবাদ। প্রশ্ন-২. প্রলেতারিয়েত কি? উত্তর: প্রলেতারিয়েত হলো সমাজের সেই শ্রেণি যে শ্রেণির সদস্যরা সম্পূর্ণ জীবিকার সংস্থান করে কেবল শ্রমশক্তি বিক্রি করে, কোনো রকমের পুঁজির মুনাফা দ্বারা নয়। প্রলেতারিয়েত তাঁদের নিয়েই গঠিত যাদের সুখ-দুঃখ, যাদের জীবন-মৃত্যু, যাদের সম্পূর্ণ অস্তিত্ব নির্ভর করে শ্রমশক্তির চাহিদার উপর আরো পড়ুন

কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার — বুর্জোয়া ও প্রলেতারিয়েত

ইউরোপ ভূত দেখছে—কমিউনিজমের ভূত। এ ভূত ঝেড়ে ফেলার জন্য এক পবিত্র জোটের মধ্যে এসে ঢুকেছে৷ সাবেকী ইউরোপের সকল শক্তি—পোপ এবং জার, মেত্তেরনিখ ও গিজে, ফরাসি র‍্যাডিকালেরা আর জার্মান পুলিশ গোয়েন্দারা। এমন কোন বিরোধী পার্টি আছে, ক্ষমতায় আসীন প্রতিপক্ষ যাকে কমিউনিস্ট-ভাবাপন্ন বলে নিন্দা করে নি? এমন বিরোধী পার্টিই বা কোথায় যে নিজেও আরও অগ্রসর বিরোধী দলগুলির, তথা প্রতিক্রিয়াশীল বিপক্ষদের বিরুদ্ধে পাল্টা ছুড়ে মারে নি কমিউনিজমের গালি? এই তথ্য থেকে দুটি ব্যাপার বেরিয়ে আসে। আরো পড়ুন

একটি সমবায়ের পরিচিতি

(১৫ এপ্রিল, ১৯৫৮) “দুই বছরের তিক্ত সংগ্রামের ভেতর দিয়ে যে সমবায়টি নিজেকে রূপান্তরিত করেছে”১ শীর্ষক প্রবন্ধটি পড়বার মতো।  গোটা দেশে দ্রুত তালে বেড়ে উঠছে কমিউনিস্ট ভাবমানস। দ্রুত বেড়ে উঠছে ব্যাপক জনসাধারণের রাজনৈতিক সচেতনতা। জনসাধারণের পশ্চাৎপদ অংশ অগ্রবর্তীদের সমান হওয়ার জন্য প্রচণ্ড প্রয়াস করছেন। এটা স্পষ্ট প্রমাণ করে দেয় যে আমাদের দেশে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে (সেই সব … Read more

কমিউনিস্ট ইশতেহারের ১৮৯৩ সালের ইতালীয় সংস্করণের ভূমিকা

ইতালীয় পাঠকদের প্রতি বলা যেতে পারে যে ‘কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার’ প্রকাশিত হয় ১৮৪৮ খ্রীস্টাব্দের ১৮ মার্চের সঙ্গে সঙ্গে— মিলানে ও বার্লিনে বিপ্লব ঘটে এই তারিখটায়— ইউরোপীয় ভূখণ্ডের মধ্যস্থলের একটি, এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যস্থলে একটি, এই দুই জাতির সশস্ত্র অভ্যুত্থান ছিলো তা, এবং তা এমন দুটি জাতি যা বিভাগ ও অন্তর্দ্বন্দ্বে তখনো পর্যন্ত দুর্বল হয়ে ছিলো … Read more

কমিউনিস্ট ইশতেহারের ১৮৯২ সালের পোলীয় সংস্করণের ভূমিকা

‘কমিউনিস্ট ইশতেহারের’ একটি নূতন পোলীয় সংস্করণের যে প্রয়োজন হলো তাতে নানা কথা মনে আসে। প্রথমত, ‘ইশতেহারটি’ যেন ইদানীং ইউরোপীয় ভূখণ্ডে বৃহদায়তন শিল্প বিকাশের একটা সূচক হয়ে দাঁড়িয়েছে, এ কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন। এক একটি দেশে বৃহদায়তন শিল্প যে পরিমাণে বাড়ে, সেই পরিমাণেই মালিক শ্রেণিগুলির তুলনায় শ্রমিক শ্রেণির নিজস্ব শ্রেণিগত অবস্থান থেকে জ্ঞানলাভের জন্য আগ্রহ বাড়ে; … Read more

error: Content is protected !!