হোক্সাপন্থা হচ্ছে সংশোধনবাদ বিরোধী মার্কসবাদ-লেনিনবাদের একটি ভিন্নধারা

হোক্সাপন্থা

হোক্সাপন্থা বা হোক্সাবাদ (ইংরেজি: Hoxhaite বা Hoxhaism) হচ্ছে সংশোধনবাদ বিরোধী মার্কসবাদ-লেনিনবাদের একটি ভিন্নধারা। এনভার হোক্সার নাম অনুসারে হোক্স্বাপন্থা কথাটি চালু হয়েছে। স্তালিনবাদের অধীনে সোভিয়েত ইউনিয়নের সংগঠন জোসেফ স্তালিনের উত্তরাধিকারের কঠোর প্রতিরক্ষার মাধ্যমে হোক্সাপন্থা নিজেকে সীমায়িত করে তোলে[১] এবং “সংশোধনবাদী” হিসাবে অন্যান্য সমস্ত কমিউনিস্ট দলকে সমালোচনা করেছিল। আরো পড়ুন

সমাজতন্ত্রের বিকল্প হচ্ছে সমাজতন্ত্রই, অন্য কিছু বিকল্প হিসেবে প্রযোজ্য নয়

সমাজতন্ত্রের বিকল্প

প্রশ্ন থাকে যে, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনটা ঘটল কেন? হিটলার পারেননি, হেরে গেছেন; পুঁজিবাদীদের অবরোধ কাজে দেয়নি; দুর্ভিক্ষ, গৃহযুদ্ধ, অন্তর্ঘাত, হত্যা-প্রচেষ্টা, অনেক কিছুই চলেছে। মেনশেভিকরা বিপ্লবকে মেনে নেয়নি। সোস্যালিস্ট রেভলিউশনারিরাও বিরোধিতা করেছেন। বিপ্লবের কয়েক মাস পরই লেনিনের মাথায় পিস্তল ধরে গুলি করেছিল যে তরুণী সে ছিল ওই দলেরই সদস্য। ট্রাস্টি ছিলেন মেনশেভিকদের দলে; বিপ্লবে লেনিনের নেতৃত্বকে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন, কিন্তু স্তালিনের সময় চক্রান্তই শুরু করেছিলেন। আরো পড়ুন

সমাজতন্ত্রের দিকে যেতে ভয় পেলে এগোনো সম্ভব কি?

আসন্ন বিপর্যয় এবং তা প্রতিহত করার উপায় পুস্তিকা থেকে এতক্ষণ যা বলা হলো তার থেকে, সোশ্যালিস্ট-রেভলিউশানারি এবং মেনশেভিকদের চলতি সুবিধাবাদী ধ্যান-ধারণায় লালিত পাঠকের পক্ষ থেকে সহজেই এই আপত্তি উঠতে পারে: এখানে বর্ণিত ব্যবস্থাগুলির বেশির ভাগ বস্তুত সমাজতান্ত্রিকই, গণতান্ত্রিক নয়! (কোনো-না-কোনো আকারে) সাধারণত বুর্জোয়া, সোশ্যালিস্ট-রেভলিউশনারি এবং মেনশেভিক পত্রপত্রিকাগুলিতে উত্থাপিত এই চলতি আপত্তিটা হলো অনগ্রসর পুঁজিবাদের প্রতিক্রিয়াশীল পক্ষসমর্থন, স্ত্রুভীয় সাজে সজ্জিত সমর্থন। আরো পড়ুন

নৈরাজ্যবাদ অথবা সমাজতন্ত্র

ডিসেম্বর ১৯০৬ – জানুয়ারি ১৯০৭; আমরা সেই ধরনের লোক নই, যারা নৈরাজ্যবাদ শব্দটার উল্লেখ হলেই অবজ্ঞাভরে মুখ ফিরিয়ে এবং উন্নাসিকভাবে হাত নেড়ে বলে, ‘ও সম্পর্কে সময় নষ্ট করে কি হবে? ওটা তো আলোচনারই যোগ্য নয়!’ আমরা মনে করি এ রকম সস্তা সমালোচনা মর্যাদাহানিকর ও নিরর্থক। আমরা আবার সে ধরনের লোকও নই, যারা এই চিন্তা করে নিজেদের সান্তনা দেই যে নৈরাজ্যবাদীদের ‘পেছনে কোনো ব্যাপক জনসাধারণ নেই এবং সেজন্য তারা ততটা বিপজ্জনক নয়।’ আরো পড়ুন

কার্ল মার্কস ও নিউ রাইনিশ গেজেট

আমরা যাকে জার্মান কমিউনিস্ট পার্টি বলতাম, ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের আরম্ভে তা ছিলো শুধু একটি স্বল্পসংখ্যকের কোষকেন্দ্র, ছিল গোপন প্রচারমূলক সমিতি হিসাবে সংগঠিত কমিউনিস্ট লীগ। সেই সময়ে জার্মানিতে সংঘ ও সভা সমিতির কোনো অধিকার ছিলো না বলেই লীগকে গুপ্ত সংগঠন হতে হয়েছিলো। বিদেশের বিভিন্ন শ্রমিক সংস্থা থেকে লীগ তার সদস্য সংগ্রহ করতো। আরো পড়ুন

মার্কসবাদের তিনটি উৎস ও তিনটি উপাদান

সভ্য দুনিয়ার সর্বত্র বুর্জোয়াবিজ্ঞানের (সরকারি এবং উদারনীতিক উভয় প্রকার) পক্ষ থেকে মার্কসের মতবাদের প্রতি চূড়ান্ত শত্রুতা ও আক্রোশ দেখা যায়। মার্কসবাদকে তা দেখে একধরনের ‘বিষাক্ত গোষ্ঠী’ হিসেবে। অবশ্যই অন্য মনোভাব আশা করা বৃথা, কেননা, শ্রেণিসংগ্রামের ওপর গড়ে ওঠা সমাজে ‘নিরপেক্ষ’ সমাজবিজ্ঞানের অস্তিত্ব অসম্ভব। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!