বনওকড়া বিরুৎ-এর মূল, পাতা, ফুলের গুণাগুণ

বনওকড়া বিরুৎ (triumfetta rhomboidea)-এর ফলগুলি দেখতে অনেকটা ছোলার মত। অতি সহজেই কাপড়ে আটকে যায় । সাধারণতঃ অক্টোবর থেকে জানুয়ারী মাসের মধ্যে গাছে ফুল ও ফল হয় । বনওকড়া বিরুৎ-এর গুণপনা মূল— স্বাদে তিক্ত ও কটু, স্বভাবে শীতল, পিচ্ছিল, বলকর, রসায়ন, রক্তরোধক, স্তন্যবর্ধক, কামোদ্দীপক ও প্রস্রাবকারক এবং প্রবাহিকা ও রক্তাতিসারে ব্যবহার্য। এটি অন্ত্রজ ক্ষত সারায়, ব্রণে … Read more

মিশ্রিদানা বা চিনিপাতা-এর উপকারিতা

মিশ্রিদানা বা চিনিপাতা বোটানিক্যাল পরিচিতি হলো—এটি Scrophulariaceae পরিবারের Scoparia গণের একটি প্রজাতি, সেটির নাম Scoparia dulcis Linn. ঔষধার্থে ব্যবহার্য অংশ : মূল সমেত সমগ্র গাছ। মিশ্রিদানা বা চিনিপাতা-এর গুণপনা পাতা ভিজানো জল / পাতার রস জ্বর, কাসি ও ফুসফুসনলিকা প্রদাহে উপকারী। পাতা গরম জলে ভিজিয়ে খেলে সরলে প্রস্রাব হয়। সমগ্র গাছের ক্বাথ খেলে মূত্রথলির ক্ষুদ্র … Read more

কেলেলতা দক্ষিণ এশিয়ার ভেষজ প্রজাতি

Menispermaceae পরিবারের অন্তর্গত Tiliacora গণের প্রজাতিগুলি চিরহরিৎ, কাষ্ঠাল লতা অথবা লতানে উদ্ভিদ। এই গণভুক্ত তিনটি প্রজাতি ভারতে জন্মে। তন্মধ্যে একটি প্রজাতি কেলেলতা বা তিলিয়াকরা, যার বোটানিক্যাল নাম Tiliacora acuminata Miers. কেলেলতা-এর পরিচিতি চিরহরিৎ পত্রাচ্ছাদিত কাষ্ঠাল কাণ্ডযুক্ত বহুবিস্তৃত লতানে উদ্ভিদ। শাখা-প্রশাখা কোমল ও হালকা রোমশ। ভারতের প্রায় সর্বত্র সাধারণতঃ বেড়ার উপর লতাতে কিংবা জঙ্গলে বড় গাছকে … Read more

সোনাপাতা বা কেতুরী হলদি-এর সাতটি ভেষজ প্রয়োগ

সোনাপাতা বা কেতুরী হলদি (Curcuma angustifolia ) তিক্ত, মূত্রকারক, বিরেচক, অস্ত্রের কৃমি গতিবর্ধক, পিত্ত নিঃসারক; চর্মরোগ, বাতব্যাধি, উদরকৃমি, অর্শ, শোথ, মেহ প্রভৃতি নাশক; রসায়ন ও শুক্রবর্ধক। লোকায়তিক ব্যবহার ১. কোষ্ঠবদ্ধতায়: নানা প্রকারের জ্বর, অজীর্ণ, অম্লপিত্ত, প্রদাহ, রাতব্যাধি প্রভৃতি রোগের ক্ষেত্রে কোষ্ঠবদ্ধতা এলে কিংবা যাঁরা সাধারণতঃ কোষ্ঠবদ্ধতায় ভোগেন, এসব ক্ষেত্রেই সোনাপাতা বা সোনাফল ব্যবহার করা যেতে … Read more

সোনাপাতা বা কেতুরী হলদি-এর গুণাগুণ

Curcuma angustifolia প্রজাতিটির গাছ সাধারণতঃ ২ থেকে ৩ ফুট লম্বা হয়। পত্রদণ্ডের উভয় দিকে ৭ থেকে ৮ জোড়া পাতা থাকে। পাতাগুলি ১২ ইঞ্চি লম্বা, সরু, দেখতে অনেকটা শণগাছের পাতার মতো, তবে বর্ণ হরিদ্রাভ সবুজ ও প্রায় মসৃণ। পাতা শুকিয়ে গেলে অতি সহজে ভেঙ্গে যায়। পত্রদণ্ডের গোড়া থেকে পুষ্পদণ্ড বেরোয়। পুষ্পদণ্ডের উভয় দিকে ফুল থাকে, দেখতে … Read more

নীল টেংরাকাঁটা ভেষজ গুণাগুণের বিবরণ

নোনা জলের ধারে সুন্দরবন অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে জন্মে। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের খালের ধারে বিক্ষিপ্তভাবে জন্মে থাকে। এটি অযত্নে জন্মাতে পারে। তবে কোথাও কোথাও নদীর ধারে মাটির ভাঙ্গন রোধ করার জন্য লাগানো হয়। গাছ ২ থেকে ৫ ফুট লম্বা, চিরহরিৎ। গাছের গোড়ার দিকটা বেশ শক্ত, কাঠাল। পাতা আয়তাকার, মসৃণ, কিনারা ঢেউ খেলানো এবং ডগায় কাঁটা থাকে। ফুল … Read more

ছায়া গুল্ম-এর নানা গুণাগুণের বিবরণ

ছায়া মাটিতে সামান্য গড়িয়ে পড়ে বা শক্ত খাড়া কাণ্ডযুক্ত, অত্যন্ত রোমশ গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। এটি সাধারণতঃ বর্ষজীবী, তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে গাছ মরে যাবার পর মূলটা তাজা থাকতে থাকতে জল পেলে তা থেকেই গাছ বেরোয়। বহু শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট এক থেকে দেড় ফুট লম্বা এই উদ্ভিদটি যখন ফুলে ভরে ওঠে, তখন সত্যিই অপূর্ব লাগে। ছোট বোঁটাযুক্ত প্রায় … Read more

মায়াফল বৃক্ষ এশিয়ায় জন্মানো উপকারী প্রজাতি

মায়াফল বৃক্ষ দেখতে ঝোপালো ও ছোট। সাধারণত ১০ থেকে ১ ফুট উঁচু হয়। কাণ্ডের ছাল ধূসর। পাতা ৪-৬ সে.মি. লম্বা, শক্ত। পাতার নিচের দিকটা সামান্য রোম আছে, কিনারা অসমান কাটা কাটা। ফুল একলিঙ্গ বিশিষ্ট। ফল গোলাকা অথবা সিলিণ্ডার আকৃতির, হালকা হলুদ রঙের। Adleria gallae tinctoriae নামক এক প্রকার পতঙ্গের স্ত্রী পতঙ্গগুলি Quercus infcctoria গাছের কচি … Read more

বন চালতা গাছের ভেষজ গুণাগুণ

এশিয়া মহাদেশের উষ্ণ ও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল সমূহে এই গণের (genus) গাছগুলি জন্মে, তন্মধ্যে গোটা কুড়ি গাছ ভারতে পাওয়া যায়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়, সিকিম, দাক্ষিণাত্যের কোথাও কোথাও এই গাছটি অযত্নসম্ভূত হয়েই জন্মে। যদিও চালতা গাছের পাতা একক পত্র আর বন চালতার পাতা যৌগিক পত্র, তথাপি উপপত্রগুলির এক-একটি দেখতে অনেকটা চালতা পাতারই মতো। তার উপর … Read more

সিনামোমান গণের প্রজাতিগুলোর বৈশিষ্ট্য

Litsea গণের দু’টি প্রজাতি আমাদের কাছে অতি পরিচিত। সে দু’টি হলো—(১) Litsea glutinosa (Lour.) Robinson, (২) Litsea monopetala (Roxb.) Pers. এবং এ দু’টি গাছের বাংলা নাম যথাক্রমে কুকুর চিতা ও বড় কুকুর চিতা। উভয় গাছের ছালই মেদা লকড়ী নামে বাজারে পাওয়া গেলেও প্রথমটির ছালকেই সাধারণতঃ মেদা পকড়ী বলা হয়। এ ছালটি বড়ই পিচ্ছিল এবং নালুকার … Read more

error: Content is protected !!