এলাচ বা ছোট এলাচে আছে খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিসহ নানা ভেষজ গুণ

ছোট এলাচ (বৈজ্ঞানিক নাম: Elettaria cardamomum) মন প্রফুল্ল রাখে। প্রাচীন কাল থেকেই মুখ সুগন্ধিত করবার জন্যে ছোট এলাচ খাওয়া হয়। অত্যন্ত সুগন্ধী হওয়ার জন্যে ছোট এলাচ খেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। পানের মধ্যে এলাচ দিয়ে খাওয়া হয়। এছাড়া খাওয়ার পরে মুখশুদ্ধি হিসেবেও খাওয়া হয়। শরবত, মিষ্টি এমনকি পোলাও, বিরিয়ানি ব্যঞ্জন বা তরকারিও সুগন্ধিত ও সুস্বাদ করতে আস্ত এলাচ বা এলাচের গুঁড়া দেওয়া হয়। ওষুধ হিসেবেও প্রাচীনকাল থেকেই এলাচের ব্যবহার হয়ে আসছে। আয়ুর্বেদ মতে ছোট এলাচ কটুরস, শীতবীর্য (শীতল) ও লঘু। কফ, শ্বাস, কাশি, অর্শ, মূত্রকৃচ্ছু (প্রস্রাব অল্প পরিমাণে হওয়া) ও বায়ু নাশ করে। আয়ুর্বেদের অনেক ওষুধের ছোট এলাচ হলো একটি বিশেষ উপাদান। যাকে গরম মশলা বলা হয় তার মধ্যে লবঙ্গ ও দারচিনির সঙ্গে ছোট এলাচ থাকে। এগুলোকে সম্মিলিত ভাবে গরম মশলা বলা হলেও এগুলো কিন্তু শীতল বা এগুলোর শৈত্যগুণই বেশি বলে অনেকে মনে করেন। আরো পড়ুন

লবঙ্গ খাওয়ার ১৫টি উপকারিতা বা ভেষজ গুণ

লবঙ্গ কাশিতে অনেক উপকার দেয়। গরম মশলায় লবঙ্গের ব্যবহারের কথা সকলেরই জানা আছে। লবঙ্গ মশলাকে এবং লবঙ্গ মেশানো হয় সেই এমন কোনো আহার্য বস্তুর মধ্যে সুগন্ধ ছড়ায়। পানের খিলি মুড়তে তও আগে লবঙ্গ ব্যহার করা হত, এখন লবঙ্গর দাম বেড়ে যাওয়ার জন্যে সেটা আর সম্ভব হয় না। খাওয়ার পরে মুখশুদ্ধি করবার জন্যেও লবঙ্গ মুখে দেওয়া হয়। ঘরোয়া ওষুধ হিসেবে ও লবঙ্গর নানারকম গুণের কথা কারোই অজানা নেই। আরো পড়ুন

তেজপাতা রান্নাসহ রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়

তেজপাতা

যাদের কফ হয় তাদের জন্য তেজপাতা উপকারী। তেজপাতা শুধু রান্নাতেই ব্যবহার করা হয়। এই পাতার আছে অনেক রোগের আরোগ্য গুণ। একে বলা হয় তেজপাতা উষ্ণবীর্য (কড়া), পাচক (খাবার হজম করায়), আগ্নেয় বা খিদে বাড়িয়ে দেয়, মুখশুদ্ধি করে, কফ, বায়ু, অর্শ, সর্দি, বমিভাব, অরুচি ও বিষদোষ নাশ করে। আরও বলা হয় তেজপাতা মধুর, কিছু তীক্ষ, উষ্ণ, লঘু। আরো পড়ুন

রাই দানার নানাবিধ উপকারিতা ও ভেষজ গুণাগুণ

রাই থেকেই রায়তা নামে এসেছে। ডাল তরকারিতে ফোড়ন দেওয়ার জন্যে রাই তো লাগেই। রায়ত অবাঙালিদের প্রিয় খাবার। এটা টক দই ও রাই বাটা দিয়ে তৈরি। রাই দেওয়া হয় বলেই এই পদের নাম রায়তা। রাই থেকেই এই নামকরণ। রাই সাধারণত দু রকমের-শ্বেত রাই এবং কালো রাই। ভারতে প্রাচীনকাল থেকেই রান্নায় রাই ব্যবহার হয়ে আসছে। রাই থেকে তেলও বের করা হয়। কবিরাজি মতে রাই-এর তেল তীক্ষ্ণ, হালকা, মল নিষ্কাশন করে, উষ্ণ, বায়ু ও মাথার অসুখ সারিয়ে দেয়, কৃমি নাশ করে, দুষ্ট ব্রণ আরোগ্য করে। আরো পড়ুন

শুঁঠ বা শুকনা আদায় আছে নানাবিধ উপকারিতা

শুঁঠ (শুকনা আদা) জোলাপের কাজ করে। শুঁঠ বা শুকনা আদা রান্নায় বেশি ব্যবহার না করা হলেও ঘরোয়া ওষুধ হিসেবে প্রয়োজনীয়। পাকা ও পুষ্ট বা পুরুষ্টু আদা শুকিয়ে ভাল শুঁঠ তৈরি করা হয়। শুঁঠ যকৃতে (লিভায়ে) পিত্তের স্রাব বেশি পরিমাণে করায়। শুঁঠ কনসটিপেশান সারাবার গুণ থাকায় বিরচনের (জোলাপের) ওষুধে মেশানো হয়। শুঁঠ পাচনতন্ত্রে (হজমের) পক্ষে অত্যন্ত উপযোগী। বৃদ্ধ বয়সে হজম ভাল হয় না, পেটে বা উৎপন্ন হয়, কফের প্রকোপ বেড়ে যায়। মন অস্থিভাব বা একটুতেই ঘাবড়ে যাওয়ার ভাবও দেখা দেয়। হাত পা ব্যথা করতে থাকে। এই রকম অবস্থায় রোজ নিয়ম করে শুঁঠ চূর্ণ বা দুধ মিশ্রিত শুঁঠের ক্বাথ খেলে উপকার পাওয়া যাবে। কফ এবং বায়ুর সব রকম বিকালে এবং হার্টের রোগীদের পক্ষে শুঠ খুবই উপকারী। আরো পড়ুন

মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও ২১টি ভেষজ গুণাগুণ

বাত ব্যাধিতে মেথি (বৈজ্ঞানিক নাম: Trigonella foenum-graecum) খাওয়া শ্রেষ্ঠ। প্রতিদিনের ব্যবহারে সুলভ মেথি দানার বা মেথির আছে অনেক গুণ। মেথি ফোড়ন দিয়ে রান্না করা তরকারি, মেথির শাক এমনকী চচ্চড়ির পাঁচফোড়নে মেথির সুগন্ধ সকলেরই প্রিয়। কিন্তু মেথির গুণপনার কথা হয়তো সকলের জানা নেই। মেথি বায়ুকে শান্ত করে, কফ দূর করে, জ্বর সারিয়ে দেয়। মেথি বাত হরণ করে, উষ্ণ, তেতো, দীপক (উদ্দীপিত করে) ও পৌষ্টিক, কৃমি, শূল, গুল্ম, সন্ধিবাত, কোমরে ব্যথা এবং অনেক রকমের শারীরিক পীড়া দূর করে সেই সঙ্গে বায়ুনাশ করে ।। সুক্ষ্মতের মতে মেথি পিত্তনাশক, রক্ত সংশোধক (রক্তের দোষ দূর করে), বায়ুনাশক, পুষ্টিকর, মায়েদের স্তনের দুধ বাড়িয়ে দেয়। মেখির শাক, শাক ভাজা বা মেখি শাকের তরকারি তী, উষ্ণ, পিত্তবর্ধক, দীপক, (উদ্দীপিত করে), লঘু, তেতো, মলরোধ করে এবং বলবৃদ্ধি করে। আরও পড়ুন

জোয়ান বা যোয়ানের ২০টি ব্যবহার বা ভেষজ গুণাগুণ

জোয়ান বা যোয়ান খাবারকে সহজে হজম করায়। ঘরোয়া ওষুধের মধ্যে যোয়ানের ব্যবহার আমাদের দেশে প্রাচীন কাল থেকেই হয়ে আসছে। যোয়ানের সংস্কৃত নাম যমানী। যোয়ান খাবার হজম করায়, রুচি উৎপন্ন করে, তীক্ষ্ণ, গরম, হালকা খিদে বাড়িয়ে দেয়, তেতো আর পিত্ত উৎপন্ন করে। শুক্র শূল, বায়ু, কফ, পেটের গ্যাস, গুল্ম, লিভারের অসুখ ও কৃমির প্রকোপ কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বাত নাশক, উদ্বিগ্নতা দূর করে, শূলের ব্যথা কমায়, কফ, জ্বর, কৃমি নাশ করে, দুর্গন্ধ দূর করে। বদহজম, পেটের অসুখ, আমাশা, আর সর্দি সারিয়ে দেয়। কলেরা রোগে যোয়ানের প্রভাব কম হলেও এই অসুখেও উপকারক। আরও পড়ুন

মৌরি দানার ১০টি ভেষজ গুণ ও অন্যান্য ব্যবহার

মৌরি (বৈজ্ঞানিক নাম: foeniculum-vulgare) শরীর শীতল করে তাই প্রাচীন কাল থেকেই মৌরির ব্যবহার মশলা আর মুখশুদ্ধি রূপে হয়ে আসছে। পান সাজবার সময়েও পানের ভেতর মৌরি দেওয়া হয়। মৌরি স্বাদে মিষ্টি বা মধুর। এই মধুরতা গুণের জন্যেই সংস্কৃত ভাষায় মৌরিকে মধুরী বলা হয় । চরকের মতে, মৌরি শূল প্রশমন করে বা কমিয়ে দেয়। সুশ্রুতের মতে কফ নাশ করে। আয়ুর্বেদ মতে মৌরি শীতবীর্য (শীতল), রুচিকর, শুক্রবর্ধক, মুখদোষ নিবারক, রক্তপিত্ত, জ্বর, পেটের অসুখে, চোখের অসুখে ও শ্লেষ্ম রোগে উপকারী। যোনির ব্যথা, কোষ্ঠবদ্ধতা (মল না হওয়া), অগ্নিমান্দ্য (খিদে না হওয়া), কৃমি, কাশি, বমি, শূল ও বায়ুনাশ করে, খাবার হজম করায় (পাচক)। আরও পড়ুন

হিং খাওয়ার উপকারিতা ও রোগ সারাতে ১১টি ভেষজ প্রয়োগ

পেটের অসুখ সারাতে হিং উপকারি। এটি এমন একটি মশলা যার প্রয়োজন হয় সাধারণত তরকারিতে বা ডালে ফোড়ন দেওয়ার নন্য। হিন্দিতে ফোড়ন দেওয়াকে বলা হয় ‘বধারনা’। হিং ফোড়ন দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয় বলে একে বলা হয় ‘বধারনী’ । অনেক সময় পেয়াজের বদলেও এটা ব্যবহার করা হয়। অরুচি, গ্যাস, পেটের নানা অসুখ সারাতে এটা ওষুধ হিসেবে … Read more

শাহজিরা বা শাজিরা বা শাহিজিরা ১০টি ভেষজ গুণ

শাজিরা বা শাহজিরা বা শাহিজিরা (Elwendia persica) চোখের পক্ষে ভাল শাহজিরা আয়ুর্বেদ মতে, উষ্ণবীর্য বা গরম কড়া, সুগন্ধযুক্ত, কটুরস বা তেতো, মল সংগ্রাহক বা মলরোধ করে, রুক্ষ, অগ্নিহদীপক বা খিদে বাড়িয়ে দেয়, কফ নাশ করে, রুচি বৃদ্ধি করে, চোখের পক্ষে ভাল।হকিমি বা ইউনানি মতে, শাহজিরা খেলে শরীরে উষ্ণতা ও মনে সুকৃর্তি বা চনমনে ভাব আসে, কফ ও বায়ু নাশ করে, ফোলা সেরে যায় বা কমে যায়, পাকস্থলীর বদরস (বিকৃত রস) বিদূরিত হয়, রসদোষ নষ্ট হয়, খিদে বেড়ে যায়, প্রস্রাব পরিষ্কার হয়, ঋতু (মাসিক) পরিষ্কার হয়।আরও পড়ুন

error: Content is protected !!