দেশি কার্পাস এশিয়ায় জন্মানো বর্ষজীবী বৃক্ষ

ভূমিকা: দেশি কার্পাস (বৈজ্ঞানিক নাম: Gossypium arboreum) হচ্ছে  এক প্রকারের বর্ষজীবী বৃক্ষ। এই প্রজাতিটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে জন্মায়। দেশি কার্পাস-এর বর্ণনা : দেশি কার্পাস বর্ষজীবী বা বহুবর্ষজীবী গুল্ম অথবা ছোট বৃক্ষ। এটি ১- ২ মিটার উঁচু হয়। এদের কচি শাখা, পত্রবৃন্ত এবং পুষ্পবৃত্তিকা ক্ষুদ্রাকৃতির তারকাকার রোম এবং মৌলিক সাধারণ রোমের মিশ্রনে ঢাকা। পাতা ১.৫-১২.০ সেমি লম্বা বৃত্তযুক্ত, … Read more

দেশি কচুয়া পূর্ব এশিয়ায় জন্মানো চিরহরিৎ বৃক্ষ

ভূমিকা: দেশি কচুয়া (বৈজ্ঞানিক নাম: Glochidion acuminatum) হচ্ছে  এক প্রকারের ভেষজ গুল্ম। এই প্রজাতিটি পূর্ব এশিয়ার দেশে জন্মায়। দেশি কচুয়া-এর বিবরণ: দেশি কচুয়া একটি চিরহরিৎ গুল্ম। এই প্রজাতিটি প্রায় ৬ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। গাছের গুঁড়ির ব্যাস ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এই গণে অন্যান্য প্রজাতির মধ্যে এই গাছের পাতা আকারে ছোট। খাদ্য এবং … Read more

অরনি বা বাতঘ্নী এশিয়ায় জনানো ভেষজ উদ্ভিদ

এই গাছটির পরিচিতি নিয়ে মতভেদ এতই বেশি পরিলক্ষিত হয় যে, প্রাচীনের সঙ্গে নব্যের মিল খুঁজতে গিয়ে খুবই বেকায়দায় পড়ে যেতে হয়। সেই কারণে আলোচ্য ভেষজটির আরও অনেক পরিচিত নামের উল্লেখ একাধিক গ্রন্থে থাকা সত্ত্বেও তা ব্যবহার করা হলো না । বাতঘ্নী—এই ভেষজ উদ্ভিদটির বোটানিক্যাল পরিচিতি হলো – Verbenaceae পরিবারের Clerodendrum গণের একটি প্রজাতি, তার নাম … Read more

চিল্লা এশিয়ায় জন্মানো ভেষজ গাছ

চিল্লা হিমালয়ের পাদদেশ থেকে আরম্ভ করে প্রায় সমগ্র ভারতের যত্রতত্র Casearia tomentosa প্রজাতিটিকে দেখতে পাওয়া যায়। মাঝারি ধরনের ঝোপঝাড়যুক্ত গাছ। কাণ্ডের ছাল ধূসর, বেশ মোটা, সহজে ভেঙ্গে যায়। কাঠের বর্ণ পীতাভ শ্বেত। পাতা আয়তাকার, সূচাগ্র, গোড়ার দিকটাও ক্রমশঃ সরু, সামান্য রোমশ, সাধারণতঃ ৫ । ৬ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা। কিনারা কাটা কাটা। শাখা-প্রশাখাগুলিও রোমশ। ফুল সবুজাভ- … Read more

স্বর্ণমূলা এশিয়ায় জন্মানো ভেষজ উদ্ভিদ

সপ্তরঙ্গী বা সপ্তচক্রা এর আর এক নাম স্বর্ণমূলা, কারণ মূলের বহিরাবরণ সোনালী। সপ্তরঙ্গীকে ভারতের অধিকাংশ মনীষী সপ্তরঙ্গীকে Casearia esculenta বললেও কারও কারও মতে Hippocratcaceae পরিবারের Salacia গণের Salacia chinensis Linn. গাছটিও সপ্তরঙ্গী। এখানে একটি গাছের বর্ণনা ও গুণপনা পৃথক পৃথক দেওয়া হচ্ছে। Casearia esculenta Roxb: গাছটি দক্ষিণ ভারতের পাহাড়িয়া অঞ্চলে অধিক জন্মে। ছোট আকৃতির গাছ। … Read more

সপ্তরঙ্গী-এর ভেষজ গুণ সম্পন্ন বৃক্ষ

সপ্তরঙ্গী বা সপ্তচক্রা এর আর এক নাম স্বর্ণমূলা, কারণ মূলের বহিরাবরণ সোনালী। সপ্তরঙ্গীকে ভারতের অধিকাংশ মনীষী সপ্তরঙ্গীকে Casearia esculenta বললেও কারও কারও মতে Hippocratcaceae পরিবারের Salacia গণের Salacia chinensis Linn. গাছটিও সপ্তরঙ্গী। এখানে একটি গাছের বর্ণনা ও গুণপনা পৃথক পৃথক দেওয়া হচ্ছে। Salacia chinensis Linn: এটি শক্ত কাণ্ড বিশিষ্ট অর্ধলতানো গাছ। ভারতের বিভিন্ন স্থানে পাওয়া … Read more

মায়াফল গাছ-এর তেরটি ভেষজ গুণাগুণ

মায়াফল-গুলি ( Quercus infcctoria) ছিদ্রহীন হলেই ভাল, তা না পাওয়া গেলে ছিদ্রযুক্তগুলি নিতেই হবে । আবার মিশ্রিতও নেওয়া চলে। ওগুলিকে ভালভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে গুঁড়ো করার পর ছেঁকে নিয়ে দুইভাগে ভাগ করতে পারলে ভাল হয়। যেমন–মিহিচূর্ণকে একটি শুষ্ক পাত্রে রাখতে হবে এবং ছাঁকার পর মোটা সিটে অংশগুলিকে ফেলে না দিয়ে সেগুলিকেও সংরক্ষণ করা উচিত, কারণ … Read more

বন চালতা গাছের ভেষজ গুণাগুণ

এশিয়া মহাদেশের উষ্ণ ও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল সমূহে এই গণের (genus) গাছগুলি জন্মে, তন্মধ্যে গোটা কুড়ি গাছ ভারতে পাওয়া যায়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়, সিকিম, দাক্ষিণাত্যের কোথাও কোথাও এই গাছটি অযত্নসম্ভূত হয়েই জন্মে। যদিও চালতা গাছের পাতা একক পত্র আর বন চালতার পাতা যৌগিক পত্র, তথাপি উপপত্রগুলির এক-একটি দেখতে অনেকটা চালতা পাতারই মতো। তার উপর … Read more

সিনামোমান গণের প্রজাতিগুলোর বৈশিষ্ট্য

Litsea গণের দু’টি প্রজাতি আমাদের কাছে অতি পরিচিত। সে দু’টি হলো—(১) Litsea glutinosa (Lour.) Robinson, (২) Litsea monopetala (Roxb.) Pers. এবং এ দু’টি গাছের বাংলা নাম যথাক্রমে কুকুর চিতা ও বড় কুকুর চিতা। উভয় গাছের ছালই মেদা লকড়ী নামে বাজারে পাওয়া গেলেও প্রথমটির ছালকেই সাধারণতঃ মেদা পকড়ী বলা হয়। এ ছালটি বড়ই পিচ্ছিল এবং নালুকার … Read more

নলিকা-এর নানাবিধ ভেষজ প্রয়োগ

বাজারে প্রাপ্ত মোটা আকারের সুগন্ধযুক্ত গোলাকৃতি বা নলিকাকৃতি নালুকা বা তেজপাতা (প্রজাতি) ঔষধার্থে ব্যবহার করতে পারলে উপকার অধিক হয়। যদিও এটাকে মসলা হিসাবে খাওয়া যায়। নলিকা-এর ভেষজ ব্যবহার ১. আগন্তুক শোথ: হঠাৎ সামান্য ধাক্কা লেগে ফুলে গেছে, যন্ত্রণা হচ্ছে, এক্ষেত্রে নালুকা জলে বেঁটে সামান্য গরম করে ঈষদুষ্ণ অবস্থায় ফোলার উপর লাগিয়ে দিন। ঘণ্টা দুই রাখার … Read more

error: Content is protected !!