বিহিদানা-এর সাতটি ভেষজ প্রয়োগ পদ্ধতি

বিহিদানা গাছটির বোটানিক্যাল নাম Cydonia oblonga Mill, পূর্বে এটির নাম ছিল c. vulgaris Pers. এবং Pyrus cydonia Linn., ফ্যামিলী Rosaceae. ভারতের অধিকাংশ স্থানে বিহিদানা নামেই পরিচিত। আরবে সফরজল নামেই প্রসিদ্ধ। বিহিদানা-এর ভেষজ ব্যবহার ১. অগ্নিমান্দ্য, অরুচি ও কোষ্ঠবদ্ধতায়: সাধারণতঃ প্রথম দু’টি অথবা তিনটি সমস্যা একত্রে আসে, পৃথক পৃথক ভাবে আসে কমই; এগুলি যে ভাবেই আসুক … Read more

বিহিদানা গাছ দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় জন্মে

বিহিদানা গাছ ককেশাস অঞ্চলের উষ্ণ-নাতিশীতোষ্ণ দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার আদি নিবাস। এটি একটি ছোট, পর্ণমোচী, ক্রমবর্ধমান গাছ।  কাশ্মীরে সাধারণত চাষ করা হয়। রোস্টিং, বেকিং বা স্টু হিসাবে খাওয়ার পরে সবচেয়ে ভাল। এছাড়াও জ্যাম, জেলি বা পুডিং হিসাবে ব্যবহৃত হয়। বিহিদানা গাছ-এর পরিচয় বিহিদানা মাঝারি ধরনের ও বহু শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট সবুজ পত্রাচ্ছাদিত এবং ফলবান বৃক্ষ। এর কচি ডালপালা … Read more

কুকুরচিতা বা মেন্দা সুগন্ধি ও ভেষজ বৃক্ষ

ভারতের প্রায় সর্বত্র, বিশেষতঃ উষ্ণপ্রধান অঞ্চলে মেদা লকড়ীর গাছ জন্মে। চির সবুজ পত্রাচ্ছাদিত গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ, সাধারণতঃ ২০। ২৫ ফুটের মতো উঁচু হয়, তবে কোনো কোনো স্থানের গাছ আরো লম্বা হতে দেখা যায়। পশ্চিম বাংলার কোথাও কোথাও ঝোপঝাড়যুক্ত বেশ লম্বা, আবার কোথাও-বা ছোট আকারের গাছ পরিলক্ষিত হয়। পাতার কোনটি লম্বাটে, কোনটি ডিম্বাকৃতি, ডালের দু’পাশে একটির … Read more

কুকুরচিতা বা মেন্দা গাছ-এর নয়টি ভেষজ গুণ

কুকুরচিতা বা মেন্দা গাছ-এর কাঠ হরিদ্রাভ-ধূসর কিংবা ধূসর-বাদামী রঙের, বেশ শক্ত, নানাবিধ গৃহকর্মাদির কাজে ব্যবহৃত হয়। পাতার কোল থেকে পুষ্পদণ্ড বেরোয়, সেটি খুবই ছোট এবং পুষ্পদণ্ডের মাথায় ছাতার মতো ছোট ছোট হরিদ্রাভ বর্ণের ফুল ফোটে। এর অনেক ভেষজ উপকারিতা আছে। কুকুরচিতা বা মেন্দা গাছ-এর ভেষজ ব্যবহার ১. অতিসারে: প্রতিদিন ২/৩ বার পাতলা দাস্ত, তবে জলের … Read more

চিলগোজা ঔষধি গুণসম্পন্ন পাইন জাতীয় গাছ

চিলগোজা (Pinus gerardiana) ভারতের উত্তর-পশ্চিম হিমালয়-সংলগ্ন গাড়োয়াল অঞ্চলে ১৮০০ থেকে ৩০০০ মিটার পর্যন্ত উচ্চস্থানে এই গাছ প্রচুর জন্মে। তাছাড়া আফগানিস্তান, বেলুচিস্তান প্রভৃতি জায়গায়ও এটিকে পাওয়া যায়। চিলগোজা-এর পরিচিতি যদিও এটি কম উচ্চতা-সম্পন্ন এক প্রকার পাইন গাছ, তাহলেও সাধারণতঃ ১৫-২০ মিটার লম্বা ও ২–৩ মিটার চওড়া বিশিষ্ট চিরহরিৎ বৃক্ষ। শাখা-প্রশাখাগুলি ঊর্ধ্বমুখী, কিন্তু কাণ্ড থেকে গোলাকারভাবে বেরোয় … Read more

লিচু ফল-এর আটটি ভেষজ গুণাগুণ

লিচু ফল-এর অধিকাংশ স্থানে লিচি কিংবা লিচু বলা হয়। লিচুর খাদ্যাংশকে জেলির মত কিংবা সরবতের (Syrup) মত করে সংরক্ষণ করা যায়। এই যে লিচু আমরা খাই এটিই চীন দেশ থেকে আগত এবং এর বোটানিক্যাল নাম Litchi chinensis Sonn. লিচু ফল-এর ভেষজ ব্যবহার ১. দুর্বলতায়: যেকোন প্রকার রোগভোগের পর, প্রসবের পর, গরমের দিনে অতিরিক্ত ঘোরাঘুরি করলে … Read more

লিচু গুণ-এ ভরপুর রসালো ফল

লিচু বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে চাষ করা হয়। বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতের লিচু জন্মে। পশ্চিম বাংলা, বিহার, উত্তর প্রদেশের স্থানবিশেষে উৎকৃষ্ট মানের লিচু প্রচুর পরিমাণে ফললেও দক্ষিণ ভারতে এর চাষ তেমন একটা হয় না। অথচ এই গাছটি নিম্নভূমির প্রায় সর্বত্র এবং শীতপ্রধান অঞ্চলের বহু অঞ্চলে চাষের উপযোগী। ছায়াদার গাছ হিসেবেও লাগানো যেতে পারে, এর দ্বারা জনসাধারণ … Read more

খুবানি ফল ও শাঁস-এর সাতটি ঔষধি ব্যবহার

মাঝে মাঝে পাতলা দাস্ত হয়, তা না হলে প্রায় প্রত্যহ দু’তিন বার করে আড়-পাতলা দাস্ত হতেই থাকে, সেটা আবার দীর্ঘদিন ধরে চলেছে, তখন সেক্ষেত্রে অনেক রকম রোগের সম্ভাবনা থেকে যায়। দীর্ঘদিন ধরে হজম ক্ষমতায় ব্যাঘাত ঘটলে, পেটে ক্রিমির উৎপাত হলে যেক্ষেত্রে এই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে, সেক্ষেত্রে শুকনো খুবানী ফল একটি কিংবা দু’টি জলে মসৃণ করে বেটে তার সঙ্গে আধ কাপ জল মিশিয়ে সেটিকে ভালভাবে ছেঁকে নিংড়ে নিয়ে আরো পড়ুন

খুবানি শোভাবর্ধক ও উপকারী বৃক্ষ

মাঝারি ধরনের ঝোপঝাড় বিশিষ্ট গাছ। সাধারণতঃ ২০। ২৫ ফুট উঁচু হয়। পাতা গোল কিংবা ডিম্বাকৃতি, ২ থেকে ৪ ইঞ্চি লম্বা। ফুল গোলাপী সাদা। ফল কচি অবস্থায় রোমশ, পাকলে হলদে রঙের উপর লালের আভা, মসৃণ। শুকনো ফল তাজা অপেক্ষা উত্তম। এই ফল মধুর, অম্ল, অম্ল-মধুর ভেদে তিন প্রকার। ফলের মধ্যে বীজ থাকে এবং বীজের মধ্যে থাকে শাঁস। বীজের শাঁস অত্যধিক স্বাদযুক্ত। ঔষধার্থে ব্যবহার্য অংশ— ফল ও শাঁস।আরো পড়ুন

সফেদা খাওয়ার ছয়টি উপকারিতা

কাঁচা সফেদায় (বৈজ্ঞানিক নাম: Manilkara zapota) দুধের মতো এক প্রকার আঠা বেরোয় এবং সেটিতে সামান্য ট্যানিন আছে। পাকা ফল স্বাদে মধুর, তৃপ্তিদায়ক, অধিক পরিমাণে শর্করা সমৃদ্ধ। গাছের ছাল বলকারক ও জ্বরনাশক। বীজ মূত্রকারক ও মৃদু বিরেচক।

রোগ প্রতিকারে এই সুমিষ্ট ফলটিকে কিভাবে ব্যবহার করবেন। মনে রাখবেন— সুপক্ব ও সুমিষ্ট ফলই ব্যবহার্য, কাঁচা ফল খাবেন না। মধুমেহ (Diabetes mellitus) রোগে যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা লোভের বশবর্তী হয়ে ভুলেও সপেটা খাবেন না।আরো পড়ুন

error: Content is protected !!