হৃৎফলা উপকারী চির হরিৎ বৃক্ষ

চির হরিৎ বৃক্ষ, সাধারণত ২০-৩০ ফুট উঁচু হতে দেখা যায় । উত্তর-পশ্চিম হিমালয়ের সিন্দুনদীর অববাহিকা অঞ্চলে, কোয়েটা থেকে রভি অববাহিকা পর্যন্ত স্থানে ৬-৯ হাজার ফুট উচ্চতায় জন্মে । আফগানিস্থানে এটি একটি প্রিয় গাছ। সেখানে বিভিন্ন স্তূপের কাছে এটিকে লাগানো হয়ে থাকে। তাছাড়া গাছটির সুন্দর পাতা, ফুল এবং খাওয়ার উপযুক্ত জন্য এটিকে চাষ করা হয়। ইউরোপে উৎপন্ন বন সাংলী অপেক্ষা চিনাব উপত্যাকায় উৎপন্ন বনসাংলী অধিক সুস্বাদু।আরো পড়ুন

কাওয়াটুটি বাংলাদেশের পাহাড়িঞ্চলে জন্মানো উপকারী বৃক্ষ

কাওয়াটুটি প্রায় ১২ মিটার উঁচু বৃক্ষ এবং প্রধান অক্ষ সুস্পষ্ট। পত্র প্রতিমুখ, বৃহৎ, একপক্ষল, সচূড় পক্ষল, পত্রক ৫-৭টি, বৃহৎ, প্রশস্ত, উপবৃত্তাকার। পুষ্পবিন্যাস বৃহৎ প্যানিকেল বা মিশ্র প্যানিকেল, শীর্ষ কোমল রোমশ। পুষ্প সম্পূর্ণ, উভলিঙ্গ, অধিগর্ভ, সামান্য এক প্রতিসম। বৃতি ৫ টি যুক্ত বৃত্যংশ নিয়ে গঠিত, মুক্তাবস্থায় ৩-৫ টি অসম খন্ডে বিভক্ত, প্রান্ত-আচ্ছাদী।আরো পড়ুন

পাকুড় বাংলাদেশে জন্মানো উপকারী বৃক্ষ

পাকুড় মাঝারি আকারের পত্রঝরা বৃক্ষ। এটি ১৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু, উপশাখাসমূহ এবং তরুণ বিটপ মসৃণ, চুড়া অনিয়মিত আকারবিশিষ্ট। পাতা সরল, একান্তর, বৃন্তক, বৃন্ত ৪-১০ সেমি লম্বা, ফলক স্থুল ডিম্বাকার, ১০-১৫ x ৬-১০ সেমি, নিম্নপ্রান্ত খাতাগ্র বা প্রায় হৃৎপিণ্ডাকার, কিনারা অখন্ড, শীর্ষ তীক্ষ্ণগ্রবিশিষ্ট, উভয়পৃষ্ঠ মসৃণ। আরো পড়ুন

শ্বেত বট পাহাড়িঞ্চলে জন্মানো শোভাবর্ধক বৃক্ষ

শ্বেত বট বৃক্ষ, ২০ মিটার পর্যন্ত উঁচু, তরুন অবস্থায় পরাশ্রয়ী, বাকল ফ্যাকাশে ধূসরাভ, মসৃণ, শাখাসমূহ শুষ্ক অবস্থায় বাদামী থেকে হলুদাভ। পল্লব কোণীয়, মসৃণ অথবা কিছুটা রোমশ। পাতা সর্পিলাকারে সজ্জিত, অণুপর্ণী, উপপত্র ১-২ সেমি লম্বা, ভল্লাকার থেকে ডিম্বাকার-ভল্লাকার, আশুপাতী, ফলক বৃন্তক, বৃন্ত ১-২ সেমি লম্বা, আরো পড়ুন

ছাগলের বড়ি এশিয়ায় জন্মানো ভেষজ বৃক্ষ

ভূমিকা: ছাগলের বড়ি (বৈজ্ঞানিক নাম: Eurya acuminata) ইউরায়া গণের Pentaphylacaceae পরিবারের বৃক্ষ। এই প্রজাতিটি আবাদি নয়, পতিত জায়গায় অযত্নে জন্মে। অনেকে শখের বসে শোভাবর্ধনের জন্য লাগায়। তবে ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ছাগলের বড়ি-এর বর্ণনা: গুল্ম অথবা ছোট বৃক্ষ, ১৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু, কচি শাখা বিস্তৃত লোমসহ লোমশ। পত্র দ্বিসারী, ৩-১০ x ১-৩ সেমি, উপবৃত্তাকার-আয়তাকার হতে উপবৃত্তাকার-বল্লমাকার, … Read more

দইগোটা বা লটকন গাছের উপকারিতা

দইগোটা

চিরসবুজ ঝোপঝাড়যুক্ত ক্ষুপ জাতীয় বৃক্ষ। এটি অযত্নে বেড়ে ওঠে তেমনটা নয়। বাংলা, পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের অন্যান্য প্রদেশে বাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য যত্নসহকারে লাগানো হয়ে থাকে। এছাড়া দক্ষিণ ভারতের মহীশূর ও অন্যত্র রঙের জন্য ব্যবসায়িক ভিত্তিতে চাষ করা হয়।আরো পড়ুন

কুম্ভি গাছ-এর নানাবিধ ভেষজ গুণাগুণের বিবরণ

কুম্ভি গাছ (Careya arborea ) বাংলাদেশ, ভারতসহ এশিয়ার দেশগুলোতে এটি ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ভেষজ গুণ ছাড়াও এটি অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়। কাঠও নান কাজে ব্যবহৃত হয়। সর্দি, কাশি ছাড়াও বাহ্যিক রোগ সারাতে এটি ব্যবহৃত হয়।আরো পড়ুন

কুম্ভি এশিয়ায় জন্মানো ভেষজ বৃক্ষ

বৃহদাকৃতি গাছ, ৫০ থেকে ৬০ ফুট পর্যন্তও উঁচু হতে দেখা যায়। কাণ্ড বেশ মোটা হয়, ছাল পুরু ও ধূসর রঙের, ভেতরের দিকটা লালচে। কাঠের উপরিভাগ সাদাটে, অন্তঃকাষ্ঠ হালকা লাল। পাতা আকারে বড়, লম্বায় ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি এবং চওড়ায় ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি, লম্বাকৃতি, বোঁটার দিক সরু, অগ্রভাগ ক্রমশঃ মোটা হতে হতে অল্প সরু, কিনারা কাটা কাটা।আরো পড়ুন

কাকজংঘা গাছের নানাবিধ ভেষজ গুণাগুণের বিবরণ

কাকজংঘা সমগ্র গাছ ক্ষয়নাশক এবং যক্ষ্মায় প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে। পাতা ও ছোট ছোট ডাল জীবাণুনাশক ও ক্ষতে পুলটিস হিসাবে ব্যবহৃত হয়। গাছটির কাণ্ড ও কন্দ সংকোচক এবং পিচ্ছিল, স্নেহন ও সংগ্রাহক। গাছের আকৃতি ছোট। জলাসন্ন ভূমিতে অথাৎ নদী, ঝিল, পুকুর এবং জঙ্গলের ধারে, পতিত জমিতে গাছগুলি অযত্নে জন্মে থাকে।আরো পড়ুন

কুন্দরো গাছের ছয়টি ভেষজ গুণাগুণের বিবরণ

এর আঠা (Resin) বলকর, বায়ুনাশক ও কফনিঃসারক। মুখের নানা প্রকার রোগ, জীর্ণ ফুসফুস নলিকা প্রদাহ, অর্শ, অতিসার, বাত, ক্ষয়জ গ্রন্থি, ব্রণ প্রভৃতিতে ব্যবহার্য। মোম ও কোকম বাটারের সঙ্গে মিশিয়ে যে মলম প্রস্তুত হয়, তা দুষ্টব্রণে হিতকর। এটি পুলটিস ও মলম প্রস্তুতের কাজে লাগে। এছাড়া এই আঠা বার্ণিশের জন্য ব্যবহৃত হয়।আরো পড়ুন

error: Content is protected !!