চলচ্চিত্র
চলচ্চিত্র হচ্ছে একধরনের চলমান, দৃশ্যমান বিনোদন। যা মানুষের চিত্তকে আনন্দ দিয়ে থাকে। চলচ্চিত্র সাংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যেকোন বাস্তব ঘটনা বা কাল্পনিক কাহিনীকে বিভিন্ন কলাকুশলীর মাধ্যমে কৃত্রিম যন্ত্রপাতি দিয়ে উপস্থাপন করা হয়। কৃত্রিমভাবে দ্বিমাত্রিক চলমান চলচ্চিত্র তৈরির কৌশল আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৮৬০ সালের দিকে। সমাজের অসঙ্গতি, অন্যায়, আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাকে তুলে ধরার জন্য চলচ্চিত্র গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
চলচ্চিত্র সাহিত্য ও আমার ছবি
বাংলা ছবির ক্ষেত্রে বাংলা সাহিত্য যেভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে সেটাকে সম্পূর্ণভাবে সাহায্যকারী জিনিস বলে মনে করা উচিত হবে না। বাংলা সাহিত্যের অসীম প্রভাবে ছবিটা “বই”-ই হয়ে দাড়িয়েছে। এবং আমাদের ছবি-করিয়েদের প্রথম এবং প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে বইটাকে ছবিতে কতখানি বিশ্বস্তভাবে রূপান্তরিত করা যায়।আরো পড়ুন
ছবিতে ডায়লেকটিকস
ডি. ডবলিউ, গ্রিফিথ যখন ‘ইনটলারেন্স’ আর ‘দি বার্থ অব নেশন’ করেছিলেন, তখনই সত্যি সিনেমা জন্মগ্রহণ করেছিল। সে হলাে ১৯১৮-২০ সালের ব্যাপার। তার আগেই অবশ্য ‘গ্রেট ট্রেন রবারি’তে প্রথম ক্লোজ-আপ ব্যবহৃত হয়েছিল। সেটা ১৯০৩ সালে।আরো পড়ুন
শিল্প, ছবি ও ভবিষ্যৎ
কথাটা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যে। আমি ইদানীং কিছু কিছু ছবি দেখার অবকাশ পেয়েছি। সেগুলি আমার মনকে প্রচণ্ডভাবে নাড়া দিয়েছে। যেমন ধরুন, একটি মারাঠী ছবি সম্প্রতি আমার দেখার অবকাশ হয়েছিল। ছবিটির নির্মাতা এবং চিত্রকার আমার বহুপরিচিত এবং শিষ্যস্থানীয় ; ছবিটির নাম শান্ততা, কোরট চালু আহে’- সায়লেন্স, দ্য কোট ইজ অন।আরো পড়ুন
নগ্নতা এবং চলচ্চিত্র
আমাদের দেশের চলচ্চিত্র জগতে ‘চুম্বনের’ ব্যাপারটা একটি বিরাট প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। এই বিষয়ে নানান ধরনের আলােড়ন-আলােচনা ইত্যাদি চলেছে। যারাই এই প্রসঙ্গটা উত্থাপন করেছে তাদের বিরুদ্ধে যেভাবে একদল বিশেষ ধরনের চিত্রনির্মাতা দল বেঁধেছে,আরো পড়ুন
আমাদের দৃষ্টিতে বাস্তববাদী ধারা
সর্বজনগ্রাহ্য কতকগুলো কথা প্রচলিত আছে আমাদের মধ্যে– যেমন চিত্রই হচ্ছে সবচেয়ে বেশি বাস্তবমুখী শিল্প; সবচেয়ে শক্তিশালী বাস্তবতার মাধ্যম; বস্তুমুখী জীবনকে তার সর্ববৈচিত্র্য সমেত ধরতে পারে একমাত্র চলচ্চিত্রই,– ইত্যাদি ইত্যাদি। কথাগুলো তলিয়ে দেখা বিশেষ হয় নি এতদিন, অবকাশও তার বিশেষ ছিল না। গণনাট্যের নতুন জোয়ারের মধ্যে ছবিটা কোনো সময়ই এসে পড়ে নি। আরো পড়ুন
চলচ্চিত্রের স্বরূপ কী?
ফরাসি ভাষায় “engage” বলে একটা কথা আছে। আমার মনে হয়, সর্ব শিল্পে সেইটিকে গ্রহণ করা উচিত। নিরালম্ব, বায়ুভূত শিল্প কখনাে শিল্পের পর্যায়ে ওঠে না। মানুষটিকে কোথাও না-কোথাও আত্মীকরণ করতে হয়। ভালাে না বাসলে শিল্প জন্মায় না। এর প্রকাশভঙ্গি বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে, শিল্পীর মেজাজের উপর নির্ভর করে। কিন্তু মূল সূত্রটি সেই ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’। ভালাে করে তাকিয়ে দেখুন, প্রথমে সত্য। সত্য সিদ্ধ না হলে কোনাে শিল্পই শিল্পের পর্যায়ে ওঠে না। আরো পড়ুন
‘কোমল গান্ধার’ প্রসঙ্গে
‘কোমল গান্ধার’ নির্মাণকালে কোনাে সুনির্দিষ্ট তত্ত্বকে অনুসরণ করা হয় নি। সমস্ত অবরােহী তত্ত্বগুলি প্রকৃতপক্ষে বাস্তবের সুসংবদ্ধ মূল্যায়নের প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। আর সে কারণেই সব তত্ত্বই বাস্তবের তুলনায় কম নির্ভরযােগ্য। কোনাে পূর্বনির্ধারিত তত্ত্বের আক্ষরিক অনুসরণ সৃষ্টিশীলতার পক্ষে বিশেষ অনুকুল নয়। তা ছাড়া বিশিষ্ট শৈল্পিক সমস্যার সম্মুখীন হলে সৃষ্টির ক্ষেত্রে একটি বিশেষ ভঙ্গি বেছে নেওয়া আদৌ অযৌক্তিক নয়। আরো পড়ুন
দুই বাংলায় আমার দেখা মানুষ
পূর্ব বাংলায় আমি সম্প্রতি একটা ছবি করেছি ‘তিতাস একটি নদীর নাম’। সেটা করতে গিয়ে ঢাকা থেকে প্রায় আশি মাইল দুরে আড়িচাঘাট বলে একটা জায়গা আছে সেখান থেকে লঞ্চ নিয়ে পদ্মা-যমুনার সংগমস্থল পেরিয়ে প্রায় বারো মাইল দূরে আমায় কাজ করতে যেতে হতো। তীরেই একটি মুসলমান পল্লী, তার পরে একটি হিন্দু মালো পল্লী।আরো পড়ুন
শিল্প ও সততা
১৯৬১ সালে ‘কানে’ চিত্র সাংবাদিকরা মিকেলেঞ্জেলো আন্তোনিওনিকে তার ছবি সম্বন্ধে কিছু বলতে বলেছিলেন। তাতে তিনি যে উক্তি করেছিলেন তার মর্মার্থ মোটামুটি দাঁড়ায় এই :- ছবি করার গোড়ার শর্ত হচ্ছে সততা। নিজের অনুভূতি এবং উপলব্ধির সৎপ্রকাশ। আরো পড়ুন