কাঁটা মুকুট উষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চলের জন্মানো উদ্যানের শোভাবর্ধনকারী উদ্ভিদ

কাঁটা-মুকুট

ঋজু বা লতান, রোমশ বিহীন, শাখাবহুল কন্টকিত গুল্ম। প্রায় ৬০ সেমি লম্বা, শাখা গোলাকার বা কোণাকৃতি, ১ সেমি পুরু, ধূসর। কান্ডপত্র একান্তর, বিডিম্বাকার থেকে বিভল্লাকার, ১-৬ x ০.৫-২.০ সেমি, স্থূলা, পার্শ্বীয় শিরা ১৫ জোড়া, উপরের পৃষ্ঠ গাঢ় সবুজ, অঙ্কীয় পৃষ্ঠ ফ্যাকাশে, উপপত্র কন্টকিত, ১-২ সেমি লম্বা। আরো পড়ুন

মালতী লতা বাংলাদেশে জন্মানো আলংকারিক ও ভেষজ উদ্ভিদ

মালতী লতা

বৃহৎ কাষ্ঠল, পেঁচানো, প্রচুর দুগ্ধবৎ তরুক্ষীর বিশিষ্ট গুল্ম। পত্র প্রতিমুখ, চর্মবৎ, পত্রবৃন্ত ১.৫ সেমি লম্বা, পত্রফলক ৮-১০ x ২.৫-৬.০ সেমি, ডিম্বাকার বা উপবৃত্তাকার, স্থূলাঘ, ঈষৎ দীর্ঘায়, নিম্নাংশ গোলাকার স্থূলাগ্র, পার্শ্ব শিরাসমূহ ৩-৫ জোড়া, মসৃণ বা অঙ্কীয় পৃষ্ঠ ঘন ক্ষুদ্র কোমল রোমাবৃত। সাইম প্রান্তীয়, করিম্বের ন্যায়, শিথিল, রোমশ। আরো পড়ুন

লতা পারুল বা রসুন লতা উষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চলের আলংকারিক উদ্যান উদ্ভিদ

লতা পারুল

এদের শাখা থেকে কলম করে নতুন চারার জন্ম হয়। বাড়ির বাগানে বা উদ্যান লাগানো হয় আলংকারিক উদ্ভিদ হিসাবে। দৃষ্টিনন্দন উদ্যান ফুল হিসেবে বাংলাদেশে এর বেশ চাহিদা আছে। ফুল ধরে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে। আরো পড়ুন

নীলমনিলতা উষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চলের জন্মানো শোভাবর্ধনকারী আরোহী লতা

নীলমনিলতা

নীলমনিলতা একটি সুপরিচিত শোভাবর্ধক আরোহী লতা, বারান্দা, খিলান, পারগোলা এবং দেয়ালের উপর জন্মায়। ইহা দেখতে লম্বা ঝুলন্ত স্পাইকে অসংখ্য পুষ্প উৎপন্ন করে যা দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। আরো পড়ুন

মাকড়শা হুড়হুড়ি উষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চলে আলংকারিক বিরুৎ

মাকড়শা-হুড়হুড়ি

হুড়হুড়ি গাছ বীজ দ্বারা বংশ বিস্তার করে। জনবসতির কাছাকাছি পতিত জমি, নদী-জলাশয়ের পাশে, পথিপার্শ্ব, নিচু অঞ্চল অযত্নে জন্মে থাকে। উদ্যান বা বাগানে চাষ করতে চাইলেও বিশেষ যত্ন ছাড়াই বেড়ে উঠে শোভাবর্ধন করে। মাকড়শা হুড়হুড়ি ফুল ও ফল ধারণ জানুয়ারি থেকে মে। আরো পড়ুন

মে ফ্লাওয়ার বা ফায়ার বল উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলের আলংকারিক বিরুৎ

মে-ফ্লাওয়ার

ফায়ার বল লিলি বা মে ফ্লাওয়ার বহুবর্ষজীবী শল্ক কন্দাল বীরুৎ। এদের পাতা মূলজ, সরল, বল্লমাকার, অখন্ড, সূক্ষ্মাগ্র এবং শিরা সমান্তরাল, পত্রমূল পরস্পর আচ্ছাদিত। ফুলের দন্ড মাটিতে আবির্ভাবের পর পাতার জন্ম হয়। ফুলের বিন্যাস আম্বেল সদৃশ, সাইম, পত্রবিহীন ও ভৌমপুষ্পদন্ডের অগ্রভাবে জন্মে। চমসা একাধিক, সম্পূর্ণ প্রস্ফুটিত ফুল একত্রে শীর্ষ মঞ্জরী গঠন করে যা মাত্র এক সপ্তাহ স্থায়ী থাকে। আরো পড়ুন

দুপুরমনি বা বনঢুলি বাগানে চাষযোগ্য আলংকারিক বর্ষজীবী বীরুৎ

দুপুরমনি

দুপুরমনি বর্ষজীবী বীরুৎ। এর উচ্চতা ১-২ মিটার পর্যন্ত হয়। এই প্রজাতির বাকল মসৃণ, সবুজাভ-বাদামী, সামান্য ছড়ানো তারকাকার লোমযুক্ত। পাতা সরল, একান্তর, দৈর্ঘ্য ৩-১৪ সেমি ও প্রস্থ ০.৫-১.৫ সেমি। পাতা দেখতে রৈখিক-বল্লমাকার, শীর্ষ সূক্ষ্মা, গোড়া স্থুলাগ্র অথবা কীলকাকার, কিনারা করাত দন্তযুক্ত, আরো পড়ুন

জিনিয়া শীতকালীন মৌসুমের বাগান ও টবে চাষযোগ্য পরিচিত আলংকারিক ফুল

জিনিয়া

জিনিয়া ঋজু, রোমশ, একবর্ষজীবী বীরুৎ। এই উদ্ভিদ অনূর্ধ্ব ৫৪ সেমি বা ততোধিক লম্বা হয়। পত্র স্পষ্টতঃ বল্লমাকার, অখন্ড, সামান্য রোমশ। পুষ্পবিন্যাস শিরমঞ্জরী, অসম জননকোষী, একল, পুষ্পদন্ডবিশিষ্ট, ব্যাস ৯ সেমি বা ততোধিক, দ্বিতয় বা একক, মঞ্জরী পত্রাবরণ অর্ধবেলনাকার। মঞ্জরীপত্র বহু-স্তরে বিন্যস্ত, স্থূলা, শুষ্ক, প্রশস্ত, অভ্যন্তর থেকে বাইরের দিক ক্রমান্বয়ে খাটো, পুষ্পধার দীর্ঘ, শল্কবৰ্মীয়, শল্কবৰ্ম বর্ণিল, রোমশ। আরো পড়ুন

কসমস বাংলাদেশের শীত মৌসুমের কষ্টসহিষ্ণু আলঙ্কারিক ফুল

কসমস

কসমস লম্বাভাবে বেড়ে ওঠা রোমশযুক্ত বর্ষজীবী বিরুৎ। উচ্চতায় ৯০ সেমি বা অধিক লম্বা হয়। এদের পাতা অতি মাত্রায় ছিন্ন। পুষ্পবিন্যাস শিরমঞ্জরী, অসম জননকোষী, ব্যাস ৭ সেমি, দীর্ঘ পুষ্পদন্ডবিশিষ্ট, একল, শিথিল সমভুমঞ্জরী, রে-বিশিষ্ট, মঞ্জরী পত্রাবরণ অর্ধগোলাকার। মঞ্জরীপত্র ২-স্তরে সজ্জিত, নিম্নাংশে যমক, ঝিল্লিময়, সরেখ, বহির্দেশীয় গুলি সরু, উপবীরুৎ সদৃশ, পুষ্পধার সমতল, শঙ্কৰ্মীয়, শল্কবর্ম সরু। আরও পড়ুন

করবী ভূমধ্যসাগরীয় ও এশীয় অঞ্চলের ঔষধি ও উদ্যানের আলংকারিক উদ্ভিদ

করবী

শোভাবর্ধক উদ্ভিদ হিসেবে চাষ হয়। করবী গাছের আছে নানা ঔষধি গুনাগুণ উদ্ভিদটির বিশেষভাবে শিকড় বিষাক্ত, উদ্ভিদটির পুষ্প হিন্দু ধর্মের পূজা অর্চনায় প্রয়োজনীয় (Kanjilal et al, 1939)। সন্তান প্রসবজনিত স্ত্রী রোগের চিকিৎসায় টাটকা পাতার নির্যাস ব্যবহৃত হয়। শিকড় চূর্ণ মাথা ব্যথার উপশমে ব্যবহৃত হয়। পাতার নির্যাস সাপের কামড়ে ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!