কনকচাঁপা দক্ষিণ এশিয়া ও মায়ানমারের আলংকারিক ফুল

বৈজ্ঞানিক নাম: Ochna squarrosa বাংলা নাম: কনকচাঁপা, রামধন চাঁপা ইংরেজি নাম: Golden Champak জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস জগৎ/রাজ্য: Plantae – Plants অবিন্যসিত: Angiosperms অবিন্যসিত: Eudicots অবিন্যসিত: Rosids বর্গ: Malpighiales পরিবার: Ochnaceae গণ: Ochna প্রজাতি: Ochna squarrosa পরিচিতি:  কনকচাঁপা বা রামধন চাঁপা ছোট গুল্ম জাতীয় সপুষ্পক উদ্ভিদ। এরা ৪ থেকে ৭ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। তবে এক মিটার … Read more

কৃষ্ণচূড়া এশিয়া অঞ্চলের এক উপকারি প্রকৃতিবান্ধব ও আলংকারিক দৃষ্টিনন্দন বৃক্ষ

কৃষ্ণচূড়া

কৃষ্ণচূড়া মধ্যম বৃক্ষ। এদের পত্র যৌগিক, দ্বিপক্ষল, পত্রদৈর্ঘ্য ১ থেকে দেড় ইঞ্চি; পত্রিকা অত্যন্ত ক্ষুদ্র এবং অসংখ্য। পুষ্পমঞ্জরি অনিয়ত। প্রস্ফুটিত ফুলের ব্যাস ২ থেকে ৩ ইঞ্চি। বৃতির বহিরাংশ সবুজ, অন্তর্দেশ রক্তিম। দলে পাপড়ির সংখ্যা ৫, গাঢ় লাল থেকে কমলা। বৃহত্তম পাপড়ি হলুদ কিংবা সাদা রেখায় চিহ্নিত। পুংকেশর সংখ্যা ১০, লাল। ফলের দৈর্ঘ্য ১২ ইঞ্চি থেকে ২৪ ইঞ্চি, প্রস্থ ২ ইঞ্চি, কঠিন। কচি ফলের রং সবুজ, পাকা ফল গাঢ়-ধূসর। বীজ অসংখ্য, লম্বাকৃতি। আরো পড়ুন

কুন্দ বা তারা জুঁই ফুল এশিয়ার গ্রীষ্ম মণ্ডলীয় অঞ্চলের সুগন্ধি আলংকারিক ফুল

কুন্দ

ভূমিকা: তারা জুঁই বা কুন্দ ফুল (বৈজ্ঞানিক নাম: Jasminum multiflorum ইংরেজি : Downy Jasmine, Hairy Jasmine, Musk Jasmine) হচ্ছে ওলেসা পরিবারের জেসমিনাম গণের লতানো চিরসবুজ গুল্ম। বাড়িতে বা বাগানের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো হয়। এটি মূলত শীতকালে ফোটে, তাই এর অন্য নাম শীত জুঁই। সংস্কৃত ভাষায় এটিকে মাঘ মল্লিকা বলা হয় যেহেতু এটি মাঘ মাসে ফোটে। এটির ফুল মাঝে মাঝে এতো বেশি ফোটে যে পাতাহীন গাছটিকে সাদা মনে হয়। আরো পড়ুন

হাজার বেলী বাংলাদেশের আলংকারিক ফুল

বৈজ্ঞানিক নাম: Clerodendrum chinense (Osbeck) Mabb. (1989) সমনাম: Clerodendrum fragrans Willd., বাংলা নাম: সহস্রবেলী, হাজারবেলী। ইংরেজি নাম: জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস জগৎ/রাজ্য: Plantae – Plants উপরাজ্য: Angiosperms শ্রেণী: Eudicots বর্গ: Lamiales পরিবার: Lamiaceae গণ: Clerodendrum প্রজাতি: Clerodendrum chinense (Osbeck) Mabb. (1989) পরিচিতি: সহস্রবেলী চীনের প্রজাতি। বাংলাদেশেও যত্রতত্র পাওয়া যায়। ১-১.৫ মিটার উচু, চিরসবুজ গাছ। কান্ড চৌকা, আগার দিকে রোমশ। পাতা বড়, … Read more

বেলী ফুল এশিয়া ও ইউরোপের জনপ্রিয় ভেষজ গুণ সম্পন্ন আলংকারিক উদ্ভিদ

বেলী ফুল

সুগন্ধি ফুলের মধ্যে বেলী জাতীয় ফুলগুলি অন্যতম। কারণ এদের মৃদুমন্দ সুমিষ্ট গন্ধের জন্য এই জাতীয় ফুলের কদর বেশি। সাধারণতঃ জুলাই মাসে বেলীর চারা রোপণ করা হয়। কাটিং বা শাখা-কলম, দাবা-কলম দুটি অথবা মাতৃ উদ্ভিদ থেকে শিকড়সহ পৃথক চারা বংশ বিস্তারের জন্য ব্যবহৃত হয়। এদের ফল কালো বর্ণের বেরীর মতো। বৃতি কর্তৃক বেষ্টিত। বেলী গাছে বর্ষাকালে জলসেচনের বিশেষ প্রয়োজন হয় না। শুধু মাঝে মাঝে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে মাটি আলগা করে দিতে হবে এবং আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে। শীতকালে ও গ্রীষ্মকালে নিয়মিত সেচ দিতে হবে। আরো পড়ুন

জারুল বাংলাদেশের নান্দনিক পথতরু

বিবরণ: জারুল মধ্যমাকৃতি, পত্রমোচী বৃক্ষ। এদের পত্র বৃহৎ, ৬ ইঞ্চি থেকে ৮ ইঞ্চি দীর্ঘ, আয়তাকার, মসৃণ। পত্রবৃন্ত আধা ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। এদের মঞ্জরি অনিয়ত, শাখায়িত, বহুপৌষ্পিক ও প্রান্তিক। ফুল বেগুনি, ২ থেকে আড়াই ইঞ্চি প্রশস্ত। বৃতি সবুজ, দৃঢ়, স্থায়ী এবং ৬ বৃত্যংশে বিভক্ত। পাপড়ি ৬, প্রায় ১ ইঞ্চি দীর্ঘ, কোমল এবং আন্দোলিত-প্রান্তিক। পরাগকেশর অসংখ্য, … Read more

বিলাতি জারুল বাংলাদেশের দুর্লভ পথতরু

বিবরণ: ঢাকায় জারুলের একটি অন্তরঙ্গ প্রজাতি আছে যার বাংলা নাম বিলাতি জারুল। এটিও জারুলের আয়তনবিশিষ্ট, কাণ্ড আরো মসৃণ, অধিকতর পাণ্ডুবর্ণ আর পাতা লম্বা-ডিম্বাকৃতি এবং আয়তনেও অনেকটা ছোট, আকারে পেয়ারা পাতার খুবই ঘনিষ্ঠ, কচি পাতা তামাটে। এরাও জারুলের মতোই পত্রমোচী এবং পত্রমোচনের কালও এক। কিন্তু ফুল ফোটে জারুলের অনেক পরে, ঘনবর্ষায় আর ফুল আয়তনে জারুলের চেয়ে … Read more

error: Content is protected !!