একটি অসাধারণ কবিতা
আমার ভালোবাসায় যে নিজেকে উৎসর্গ করেছিল সেই মেয়েটি এখন আত্মহত্যা করছে। নীল ও বিন্দু বিন্দু আমার কপালে ঘাম তার কাছে আমি গভীর সার্থকতা ছিলাম আমার তরফে কিছু প্রবঞ্চনাও বুঝি ছিল অথবা সে কোনোদিনও সমুদ্র দেখেনি। আরো পড়ুন
আমার ভালোবাসায় যে নিজেকে উৎসর্গ করেছিল সেই মেয়েটি এখন আত্মহত্যা করছে। নীল ও বিন্দু বিন্দু আমার কপালে ঘাম তার কাছে আমি গভীর সার্থকতা ছিলাম আমার তরফে কিছু প্রবঞ্চনাও বুঝি ছিল অথবা সে কোনোদিনও সমুদ্র দেখেনি। আরো পড়ুন
একজন ভালো বাসতে বাসতে ফতুর হয়ে যায়, অন্য জন সেই ভালোবাসা গ্রহণ করে নিজেকে সাজায়। ভালোবেসে আমরা অসম জীবন গড়ি সর্বহারা কবি আর বুর্জোয়া আরো পড়ুন
স্বদেশী বাজারে গলাগলি করে একসাথে বাস করে তুলসী এবং মুনশী। কোনো কোনো রাতে ব্রহ্মপুত্রের কিনারে বুড়াপীরের মাজারে খোলা বারান্দায় পাশাপাশি বসে তবারক খায় মুনশী এবং তুলসী। আরো পড়ুন
ফুল থাক ফুলের মতো/ খাঁড়া খাঁড়ার মতো/ ফুল তুলে কেউ যেন আমাকে কাটতে/ খাড়া তুলে কেউ আমাকে/ যেন গন্ধ শোঁকাতে না আসে/ যার যে জায়গা/ সেখানেই সে যেন/ মাটি কামড়ে প’ড়ে থাকে/ জল থাক জলের মতো/ আগুন আগুনের মতো/ এ ওর পা মাড়িয়ে দিয়ে/ জল যেন জ্বালাতে/ আগুন যেন জুড়োতে না চায় আরো পড়ুন
তিন কাল গিয়ে এক কালে ঠেকা বুড়ো/ সব পাতা ঝ’রে গেলে শীতে/ ফু দিয়ে স্মৃতিতে/ একা সে আঁটকুড়ো/ ব’সে ব’সে সারাক্ষণ ফোলায় ফাঁপায় / রঙিন বুদ্বুদ/ যেখানে যা পায়/ মাটিতে লাগিয়ে মুখ খুঁটে খায় খুদ/ পাখিদের মতন হুবহু/ এক থেকে/ সেও হতে চেয়েছিল বহু/ একা তাকে ফেলে রেখে গিয়েছে প্রত্যেকে/ দাঁতে আরো জোর কমবে চোখে কমবে জ্যোতি/ জিভ আরো বেশি করে চাইতে থাকবে নুন-ঝাল-টক/ তখনই ফিরিয়ে নেবে বস্তু তার দেহ থেকে গতি আরো পড়ুন
দেবতার থানে ধ’রে দিয়ে পাঁচসিকে/ কিনে নেব ত্রাণ -/ আমরা নই সে চিজ/ হানা দিলে বান/ ডেকে তুলে পড়শিকে/ চলে আমাদের তদন্ত তজবিজ।/ পেটে পড়ে টান,/ পড়ক –/ উঁচুতে টাঙাই শিকে/ পদ্মপাতায় ভালো ক’রে মুড়ে/ মাটির হাঁড়ির মুখ/ হাতের নাগাল থেকে ঢের দূরে/ তুলে রেখে দিই বীজ আরো পড়ুন
একমাত্র তোমাকে সত্য বলে মানি/ দারুণ গ্রীষ্মে অভীপ্সা-ব্যাকুল মন/ তোমার আদেশে শহরের দিগ্বিজয়ে ঘোরে/ তোমার আদেশে সন্ন্যাসীর সাধনা-সঙিন দিনগুলি/ যুবতী-সঙ্কুল আসরে/ সান্ধ্য-সঙ্গীতে সংহত। প্রভু, পৃথিবীতে তোমার লীলা অবিরাম,/ এ্যাসেম্বলি – হলে বিরহছলে মিলন আনো/ প্রবীণ কবির মুখে আবার আনো/ স্বদেশী গান। আরো পড়ুন
কাণ্ড মহকুমার সদরে ভাই দেখে এলাম কাণ্ড একজন ডালে একজন পাতায় খোঁজে গাছের কাণ্ড দেখতে তালপাতার সেপাই মাথাগুলো প্রকাণ্ড তাকায় না ফলফুলে লক্ষ্য একদম মূলে বলে না অবিশ্যি খুলে তারা ছাড়া বাকি সবাই কেন অকালকুষ্মাণ্ড এ কয় ওরে, শিখো রে পৌঁছুতে হয় কী ক’রে সোজা সটান শিকড়ে— ব’লে যেই না হাত দেয় ছেড়ে চিৎ ক’রে … Read more