সংবিধান সভা সম্বন্ধে থিসিস

১. সংবিধান সভা বসাবার দাবিটা ছিলো বৈপ্লবিক সোশ্যাল-ডেমোক্রাসির কর্মসূচির খুবই ন্যায়সংগত একটা অঙ্গ, তার কারণ কোনো বুর্জোয়া প্রজাতন্ত্রে সংবিধান সভা হলো গণতান্ত্রিকতার সর্বোচ্চ আকার, আর কারণ হলো এই যে, কেরেনস্কির নেতৃত্বাধীন সাম্রাজ্যবাদী প্রজাতন্ত্র প্রাক-পার্লামেণ্ট স্থাপন করার সাহায্যে নির্বাচনে জয়াচুরি এবং নানা উপায়ে গণতান্ত্রিকতা লঙ্ঘনের আয়োজন করছিলো। আরো পড়ুন

আশ্চর্য ভবিষ্যতবাণী

ঈশ্বরের কৃপায় আজকাল আর কেউ দৈবরহস্যে বিশ্বাসী নয়। বিস্ময়কর দৈববাণী এখন রপকথার গল্প। কিন্তু বৈজ্ঞানিক ভবিষ্যদ্বাণী সত্য বটে। আর আজকাল যখন প্রায়ই লজ্জাকর হতাশা এবং এমন কি নৈরাশ্যও দেখা যায় তখন এমন একটি বৈজ্ঞানিক ভবিষ্যদ্বাণী স্মরণ করা যাক যা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। আরো পড়ুন

তুস্যাঁ লুভাতুর ছিলেন দাস বিদ্রোহের এক মহানায়ক

তুস্যাঁ লুভাতুর, (ইংরেজিতে: Toussaint Louverture) ডাকনাম কালো নেপোলিয়ন, (২০ মে ১৭৪৩ – ৭ এপ্রিল, ১৮০৩) ছিলেন হাইতি বিপ্লবের নেতা। তাঁর সামরিক জ্ঞান এবং তীক্ষ্ণ বিচারবুদ্ধি রূপান্তর করেছিল সমগ্র দাস সমাজকে এক স্বাধীন হাইতি রাষ্ট্রে।আরো পড়ুন

যুদ্ধ ও বিপ্লব

মাও সেতুঙের শেষ জীবনের উদ্ধৃতি *** পুঁজিবাদ ও পুঁজিবাদি ব্যবস্থা হচ্ছে “অস্তগামি, যা শেষ নিশ্বাঃস নিচ্ছে এবং যা যে কোনো মূহুর্তে মারা যাবে।” অন্যদিকে কমিউনিজম ও কমিউনিস্ট সামাজিক ব্যবস্থা সমস্ত পৃথিবীতে ছড়িয়ে যাচ্ছে বিশাল ঢেউ ও বজ্রের মতো এবং এগুলো রয়েছে তাদের জীবনের চমৎকার সুচনায়। ওয়াং হুং ওয়েন কর্তৃক কেন্দ্রিয় শিক্ষা ক্লাসের রিপোর্টে উদ্ধৃত (১৯৭৪) … Read more

সমাজতন্ত্র শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ, ধারনার উদ্ভব ও ব্যখ্যা

সমাজতন্ত্রের ইংরেজি ‘socialism’ শব্দটি ল্যাটিন শব্দ sociare থেকে এসেছে। ল্যাটিন শব্দটির অর্থ সংযুক্ত করা বা অংশীদার করা। এই সম্পর্কিত, রোমান ভাষায় এবং পরবর্তীতে মধ্যযুগের আইনে আরো কুশলী শব্দ হল societas. পরের societas শব্দটি দ্বারা বোঝাতো সাহচর্য এবং সংঘ বা সহযোগিতা। এছাড়াও শব্দটি দ্বারা আরো আইনানুগ ধারণায় বোঝাতো মুক্তমানুষের মধ্যে সম্মতিসূচক চুক্তি।[১] সেইন্ট সাইমন ছিলেন একজন … Read more

রুশ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের নেতা মহামতি লেনিনের দৃষ্টিতে বিপ্লব

মহামতি লেনিনের বিপ্লব অনেক আলোচনা রয়েছে। সেসব থেকে বিপ্লব সম্পর্কিত আটটি উদ্ধৃতি এখানে দেয়া হয়েছে। মহান রুশ বিপ্লবের শতবর্ষ গোটা দুনিয়াজুড়ে পালিত হচ্ছে। এই বিপ্লবের বিভিন্ন দিক গোটা দুনিয়ায় আলোচিত হচ্ছে। আপনারা এটি দেখবেন এবং লেনিনের বিপ্লব সম্পর্কিত ধারনার সাথে পরিচিত হবেন।

১. রাশিয়ায় বিপ্লবের সরাসরি ও আশু কর্তব্যটা ছিলো বুর্জোয়া-গণতান্ত্রিক: মধ্যযুগীয়তার অবশেষগুলোর উচ্ছেদ, সেগুলোকে শেষপর্যন্ত চূর্ণ করা, রাশিয়া থেকে এই বর্বরতা, এই লজ্জা, আমাদের দেশের সমস্ত সংস্কৃতি ও সমস্ত প্রগতির এই প্রচন্ডতম বাধাটার বিলুপ্তি।

২. জগতজুড়ে বিপ্লব শুরু না হলে অপেক্ষা করাই সমীচীন, একথা বলার অর্থ হলো_ সবাই জবুথবু হয়ে অনন্তকাল অপেক্ষাই করতে থাকো। এটা বাজে কথা।

“জগতজুড়ে বিপ্লব শুরু না হলে অপেক্ষা করাই সমীচীন, এটা বাজে কথা।”— লেনিন

৩. একটা বিপ্লব থেকে আরেকটা বিপ্লব উদ্ভবের জাজ্বল্যমান প্রমাণ বা অভিব্যক্তি হলো সোভিয়েত ব্যবস্থা। সোভিয়েত ব্যবস্থা হলো শ্রমিক ও কৃষকদের জন্য সর্বোচ্চ গণতান্ত্ৰিকতা এবং সেইসঙ্গেই এটার মানে বুর্জোয়া গণতান্ত্রিকতা থেকে বিচ্ছেদ এবং গণতন্ত্রের নতুন, বিশ্ব-ঐতিহাসিক একটা ধরনের অর্থাৎ প্রলেতারীয় গণতান্ত্রিকতার বা প্রলেতারিয়েতের একনায়কত্বের অভ্যুদয়।

৪. “সত্যিকার গণতন্ত্রমুখী বৈশিষ্ট্যের কোনো রাজনৈতিক পরিবর্তনে, রাজনৈতিক বিপ্লবে তো আরো বেশি করেই, সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের স্লোগান কোনো ক্ষেত্রে, কদাচ, কোনো পরিস্হিতিতেই অস্পষ্ট ও দুর্বল হতে পারে না।” — লেনিন

“সত্যিকার গণতন্ত্রমুখী বৈশিষ্ট্যের কোনো রাজনৈতিক পরিবর্তনে, রাজনৈতিক বিপ্লবে তো আরো বেশি করেই, সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের স্লোগান কোনো ক্ষেত্রে, কদাচ, কোনো পরিস্হিতিতেই অস্পষ্ট ও দুর্বল হতে পারে না।” — লেনিন

৫. “পশুপালকদের থেকে প্রলেতারীয় জনগোষ্ঠীতে বদলানোর আগে বিপ্লবীদের রাষ্ট্র, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কার্যকলাপ উন্নয়নে অনেক কাজ করতে হবে।” — ভি আই লেনিন

“পশুপালকদের থেকে প্রলেতারীয় জনগোষ্ঠীতে বদলানোর আগে বিপ্লবীদের রাষ্ট্র, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কার্যকলাপ উন্নয়নে অনেক কাজ করতে হবে।” — ভি আই লেনিন,

৬. “সত্যিকার গণতন্ত্রমুখী বৈশিষ্ট্যের কোনো রাজনৈতিক পরিবর্তনে, রাজনৈতিক বিপ্লবে তো আরো বেশি করেই, সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের স্লোগান কোনো ক্ষেত্রে, কদাচ, কোনো পরিস্হিতিতেই অস্পষ্ট ও দুর্বল হতে পারে না।” — লেনিন

“সত্যিকার গণতন্ত্রমুখী বৈশিষ্ট্যের কোনো রাজনৈতিক পরিবর্তনে, রাজনৈতিক বিপ্লবে তো আরো বেশি করেই, সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের স্লোগান কোনো ক্ষেত্রে, কদাচ, কোনো পরিস্হিতিতেই অস্পষ্ট ও দুর্বল হতে পারে না।” — লেনিন

৭. “সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ ও সাম্রাজ্যবাদী শান্তি থেকে পৃথিবীর প্রথম দশ কোটি লোককে ছিনিয়ে এনেছে প্রথম বলশেভিক বিপ্লব।”— লেনিন 

“সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ ও সাম্রাজ্যবাদী শান্তি থেকে পৃথিবীর প্রথম দশ কোটি লোককে ছিনিয়ে এনেছে প্রথম বলশেভিক বিপ্লব।”— লেনিন

৮. বিশৃঙ্খলা ছাড়া সত্যিকার যুদ্ধ অসম্ভব। বিশৃঙ্খলা ছাড়া সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের অপরিহার্য শর্ত ও অনুষঙ্গ — গৃহযুদ্ধও অসম্ভব বটে। বিশৃঙখলার ‘প্রেক্ষিতে’ বিপ্লব ও সমাজতন্ত্রের নিন্দাজ্ঞাপনের একটাই অর্থ: নীতিহীনতা প্রদর্শন এবং কার্যত বুর্জোয়ার পক্ষসমর্থন। “আশ্চর্য ভবিষ্যতবাণী” —ভি আই লেনিন

বিশৃঙ্খলা ছাড়া সত্যিকার যুদ্ধ অসম্ভব।

বৈরি সমাজ বিকাশের চালিকাশক্তি শ্রেণিসংগ্রামের স্বরূপ

শ্রেণিসংগ্রাম (Class struggle) হচ্ছে শ্রেণি বিভক্ত সমাজে পরস্পরবিরোধী স্বার্থসংশ্লিষ্ট মুখ্য দুটি শ্রেণির মধ্যে প্রকট আকারের দ্বন্দ্ব-সংঘাত বা সংঘর্ষ যা বৈরি উৎপাদন সম্পর্কের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। শ্রেণি বিভক্ত সমাজব্যবস্থা শুরুর পরে দাসপ্রথা থেকে শুরু করে যত সমাজ দেখা দিয়েছে তাদের ইতিহাস হলো শ্রেণিগুলোর মধ্যে সংগ্রাম, শোষিত ও শোষক, নিপীড়িত ও নিপীড়ক শ্রেণিগুলোর মধ্যে সংগ্রামের ইতিহাস।আরো পড়ুন

প্যারিস কমিউন পৃথিবীর প্রথম প্রলেতারিয় একনায়কত্ব

প্যারিস কমিউন (ইংরেজি: Paris Commune) হচ্ছে ১৮৭১ সালে ফ্রান্সের প্যারিতে প্রলেতারিয় বিপ্লবীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত প্রলেতারিয়েত শ্রেণির বিপ্লবী সরকার। সেটি ছিলো ইতিহাসে প্রথম প্রলেতারিয় একনায়কত্বের সরকার, তবে প্যারিসের বীর শ্রমিক শ্রেণি সেটিকে টিকিয়ে রাখতে সমর্থ হয় ৭২ দিন; ১৮৭১ সালের ১৮ মার্চ থেকে ২৮ মে। আরো পড়ুন

ফরাসি বিপ্লব-এ সমানপন্থিদের শ্রেণিসংগ্রাম

আধুনিক সমাজতন্ত্রের ইতিহাস শুরু হয়েছিল ১৭৮৯ সালের ফরাসি বিপ্লব-এর (ইংরেজি: French Revolution) প্রাক্কালে এবং শিল্প বিপ্লবের ফলে সেটির রূপ পালটে গিয়েছিল। তবুও একথা বলা যায় যে এই বিপ্লবের বহু পূর্বে অতীতকালের নানা ধারণা এবং আন্দোলনগুলোতে সমাজতন্ত্র তার স্থান করে নিয়েছিল।আরো পড়ুন  

কমিউনিস্ট লীগ-এর ইতিহাস

‘কমিউনিস্ট লীগ’ (ইংরেজি: Communist League) হচ্ছে প্রলেতারিয়েতের প্রথম আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট সংগঠন। এটি প্রতিষ্ঠার আগে বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রী ও অগ্রণী শ্রমিকদের মতাদর্শ ও সংগঠনের দিক থেকে জমায়েত করার জন্য মার্কস ও এঙ্গেলসকে প্রচুর খাটতে হয়েছিল। এই লক্ষ্য নিয়ে তাঁরা ১৮৪৬ খ্রীস্টাব্দেই ব্রাসেলসে কমিউনিস্ট করেসপন্ডেন্স কমিটি গঠন করেন। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!