ফয়েরবাখ সম্বন্ধে থিসিসসমূহ

ফয়েরবাখের বস্তুবাদ সমেত পূর্ববর্তী সমস্ত বস্তুবাদের প্রধান দোষ এই যে, তাতে বস্তুকে [Gegenstand]. বাস্তবতাকে, সংবেদ্যতাকে কেবল বিষয় [Objekt] রূপে বা ধ্যান রূপে ধরা হয়েছে, মানবিক সংবেদনগত ক্রিয়া হিসেবে, ব্যবহারিক কর্ম হিসেবে দেখা হয় নি, আত্মগতভাবে [subjectively] দেখা হয় নি। আরো পড়ুন

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, তার ইতিহাস ও ফলাফল

লন্ডন, শুক্রবার ২৪শে জুন, ১৮৫৩; ভারত বিষয়ে বিধান প্রণয়ন স্থগিত রাখার জন্য লর্ড স্ট্যানলির মোশনের উপর বিতর্ক আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত মুলতুবী রাখা হয়েছে। ১৭৮৩ সালের পরে ইংলন্ডে এই প্রথম ভারত প্রশ্ন মন্ত্রিসভা-টেকা-না-টেকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন হল? ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সত্যকার সূত্রপাত হিসাবে ১৭০২ সালের অতি পূর্ববর্তী কোনো যুগকে নির্দিষ্ট করা চলে না, ওই সময়টায় পূর্ব ভারতীয় বাণিজ্যের একচেটিয়া দাবি করে বিভিন্ন সংঘ একটি একক কোম্পানিতে মিলিত হয়। আরো পড়ুন

কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার — বুর্জোয়া ও প্রলেতারিয়েত

ইউরোপ ভূত দেখছে—কমিউনিজমের ভূত। এ ভূত ঝেড়ে ফেলার জন্য এক পবিত্র জোটের মধ্যে এসে ঢুকেছে৷ সাবেকী ইউরোপের সকল শক্তি—পোপ এবং জার, মেত্তেরনিখ ও গিজে, ফরাসি র‍্যাডিকালেরা আর জার্মান পুলিশ গোয়েন্দারা। এমন কোন বিরোধী পার্টি আছে, ক্ষমতায় আসীন প্রতিপক্ষ যাকে কমিউনিস্ট-ভাবাপন্ন বলে নিন্দা করে নি? এমন বিরোধী পার্টিই বা কোথায় যে নিজেও আরও অগ্রসর বিরোধী দলগুলির, তথা প্রতিক্রিয়াশীল বিপক্ষদের বিরুদ্ধে পাল্টা ছুড়ে মারে নি কমিউনিজমের গালি? এই তথ্য থেকে দুটি ব্যাপার বেরিয়ে আসে। আরো পড়ুন

মার্কস এঙ্গেলস রচিত কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহারের সূচিপত্র

এখানে কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহারের সূচিপত্র প্রদান করা হয়েছে। আপনারা মূল লেখায় গেলে পুরো সূচিপত্র পাবেন। প্রতিটি লিংকে ক্লিক করে আপনারা পুরো ইশতেহার পড়তে পারবেন। আপনারা পুরো ইশতেহার পড়তে এখানে ক্লিক করুন

আদি সঞ্চয়ের রহস্য

আমরা দেখেছি টাকা পরিবর্তিত হয় পুঁজিতে; পুঁজি মারফত উদ্বৃত্ত মূল্য গড়ে ওঠে, এবং উদ্বৃত্ত মূল্য থেকে আসে আরো পুঁজি। কিন্তু পুঁজি সঞ্চয় মানে আগে ধরে নিতে হয় উদ্বৃত্ত মূল্য, উদ্বৃত্ত মূল্যের ক্ষেত্রে আগে পুঁজিবাদী উৎপাদন, পুঁজিবাদী উৎপাদনের ক্ষেত্রে আবার আগে পণ্য উৎপাদন-কর্তাদের হাতে যথেস্ট পরিমাণ পুঁজি ও শ্রমশক্তির অস্তিত্ব ধরে নিতে হয়। আরো পড়ুন

ভারতে ব্রিটিশ শাসনের ভবিষ্যৎ ফলাফল

লন্ডন, শুক্রবার, ২২ জুলাই, ১৮৫৩; এ চিঠিতে আমি ভারত সম্পর্কে আমার মন্তব্যের উপসংহার টানতে চাই। ইংরেজ প্রভুত্ব ভারতে প্রতিষ্ঠিত হল কি করে ? মহা মোগলদের একচ্ছত্র ক্ষমতা ভেঙে ফেলেছিল মোগল শাসনকর্তারা। শাসনকর্তাদের ক্ষমতা চূর্ণ করল মারাঠারা। মারাঠাদের ক্ষমতা ভাঙল আফগানরা; এবং সবাই যখন সবার সঙ্গে সংগ্রামে লিপ্ত, তখন প্রবেশ করল ব্রিটেন এবং সকলকেই অধীন করতে সক্ষম হলো। আরো পড়ুন

ভারতে বৃটিশ শাসন

লন্ডন, শুক্রবার, ১০ জুন, ১৮৫৩; ভিয়েনার তার-বার্তায় বলা হয়েছে যে তুর্কী সার্ডিনীয় ও সুইস প্রশ্নের শান্তিপূর্ণ মীমাংসা সেখানে নিশ্চিত বলে ধরা হচ্ছে (২) । গতরাত্রে কমন্স সভায় ভারত বিতর্ক (৩) চলতে থাকে স্বাভাবিক একঘেয়ে ধরনে। স্যার চার্লস উড ও ‘স্যার জে. হগের বিবৃতিতে আশাবাদী মিথ্যার ছাপ আছে বলে মিঃ ব্ল্যাকেট অভিযোগ করেন। মন্ত্রিসভা ও ডিরেক্টরদের (৪) একগাদা উকিল যথাসাধ্য সে অভিযোগ খণ্ডনের চেষ্টা করে এবং অপরিহার্য মিঃ হিউম এই বলে উপসংহার টানেন যে মন্ত্রীরা বিল প্রত্যাহার করুন। বিতর্ক মুলতুবী রাখা হয়। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!